সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর : মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহরের আদি জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কথিত, কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র। পরে ফরাসডাঙা অর্থাৎ চন্দননগরে পুজো শুরু হয়। এখানকার উৎসব আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে। অগণিত দর্শনার্থী আলো-ঝলমল শহরে আসেন নানা প্রান্ত থেকে। নানা থিম ও আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে শহর।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুকে বয়কট দলের ৪ বিধায়কের
আদালতের নির্দেশে রবিবার ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পঞ্চাশের মধ্যে রাখতে হবে মানুষের সংখ্যা। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সরকার, প্রশাসন ও আদালতের নিয়ম মেনেই শোভাযাত্রা করবেন, ঘট ও প্রতিমা বিসর্জন দেবেন তাঁরা। আজ, রবিবার চারদিকে ‘নো এন্ট্রি’ থাকলেও সকাল থেকেই রাজবাড়ি হয়ে জলঙ্গি নদী পর্যন্ত ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তায় বহু মানুষের ভিড় দেখা যাবে।
আরও পড়ুন-Drunk BJP leader: মত্ত বিজেপি বিধায়কের নাচ
সংখ্যাটা অন্যবার লক্ষাধিক হলেও এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তা ও পুলিশ কর্তারা। এই শহরে পারিবারিক পুজো কমপক্ষে ৫০, অনুমোদিত পুজোর সংখ্যা ১৩০। সব মিলিয়ে তিনশোর বেশি পুজো হয়। শনিবার নবমীর দিন কৃষ্ণনগর যেন সেজে উঠেছিল আলোর মালায়।
শিল্পীদের নিপুণ হাতের জাদুতে প্রতিমার আকর্ষণও ছিল তুমুল। এখন পাড়ায় পাড়ায় থিম পুজো শুরু হয়েছে। সকলেই অপেক্ষা করছেন আজকের দিনটার জন্য। কারণ এখানকার ঘট বিসর্জনের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোভাযাত্রার অনুমতি মেলায় প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান অসীম সাহা জানান, অপেক্ষায় ছিলাম আদালতের নির্দেশের জন্য। এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোভাযাত্রা হবে। রবিবার সকাল থেকেই রাস্তার দু’পাশে ঘট বিসর্জন দেখতে তুমুল ভিড় হবে আশা করা যায়।