সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: চিরাচরিত প্রথা মেনে মহাষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠে সম্পন্ন হল কুমারী পুজো। মায়ের ‘চিন্ময়ী’ রূপে কুমারীকে পুজো করেন মঠের সন্ন্যাসীরা। কুমারী পুজো উপলক্ষে বেলুড় মঠে সোমবার মহাষ্টমীর ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল। এ-বছর বেলুড় মঠে কুমারী হয়েছিল আরাত্রিকা রায়। কোন্নগরের বাসিন্দা কল্যাণ ও বাসন্তীর কন্যা আরাত্রিকার বয়স ৫ বছর ২ মাস।
আরও পড়ুন-৬ রাজ্যের ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ৩ নভেম্বর
এদিন ভোর সাড়ে ৫টায় বেলুড় মঠে মহাষ্টমীর পুজো শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় সমস্ত রীতি মেনে কুমারী পুজো শুরু হয়। ছোট্ট আরাত্রিকাকে এবার ‘উমা’ রূপে পুজো করা হল বেলুড় মঠে। কুমারী পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ ‘উমা’কে অঞ্জলি দেন। অঞ্জলি দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। এরপর বেলুড় মঠের তরফে উপহার তুলে দেন এবারের ‘উমা’ আরাত্রিকার হাতে। ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর সূচনা করেন স্বামী বিবেকানন্দ। সারদা মায়ের উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীর পুজো করা হয়। এরপর থেকেই ফি বছর বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হচ্ছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত কুমারী পুজো হত রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মূল মন্দিরে। ২০০১ সাল থেকে মন্দির লাগোয়া মাঠে কুমারী পুজো শুরু হয়। কোভিডের জেরে গত দু’বছর দর্শকশূন্য রেখেই বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বেলুড় মঠের পুজোয় প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে।