আবার মুখ্যমন্ত্রী (CM) তথা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আজ, বুধবার ভোরে ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি। বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর গঙ্গায় ডুব দেওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পচা গঙ্গার ধারে যে থাকে সে গঙ্গার গুরুত্ব কী বুঝবে? যার যেমন রুচি, সে তেমন কথা বলে।” দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি করোনাকালে দেশের ত্রাতা।
আরও পড়ুন-সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণ দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের বোধ-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। উনি কী বলছেন জানেন না। কলকাতার চারপাশে গঙ্গা রয়েছে। গঙ্গার পাশে থাকা অন্যায় নয়। এটা গঙ্গাকে অপমান। কলকাতাকে অপমান। কলকাতাবাসীকে অপমান। আর গঙ্গা নিয়ে কথা বলা ওনাদের মুখে শোভা পায় না। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঙ্গায় করোনার লাশ ভাসিয়ে ছিল। মালদার মানিকচকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল পুলিশ নামিয়ে সেই মৃতদেহ তুলে মর্যাদার সঙ্গে সৎকার করেছিলেন, সেটা কি দীলিপবাবুরা ভুলে গিয়েছেন? তাই প্রধানমন্ত্রী ডুব দিন আর বিজেপির যে কেউ গঙ্গায় ডুব দিন, উত্তরপ্রদেশে যোগীর কু-কীর্তির কলঙ্ক মুছতে পারবেন না। তাই কলকাতাকে অপমান করবেন না।”
আরও পড়ুন-কলকাতা পুরভোটে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট, হতাশ বিজেপি
এদিন দিলীপ ঘোষ সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সিঙ্গুরের মানুষ গত নির্বাচনেই তৃণমূলকে জবাব দিয়েছেন। তারও জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আপনারা সিঙ্গুরে মঞ্চ বাঁধছেন আর সেখানকার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কোথায়?”
এদিন শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “শুভেন্দু কুলাঙ্গার। মীরজাফর। যে দলের খেয়ে পড়ে বড় হয়েছে, সেই দলের বিরুদ্ধেই কথা বলছে। মানুষ বিধানসভা ভোটে কত ধানে কত চাল বুঝিয়ে দিয়েছে শুভেন্দুকে। পুরভোটেও জবাব পেয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন-বিরাটই চেয়েছিল অশ্বিনকে: সৌরভ
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় পুরভোটের আগে হঠাৎ জেগে উঠেছেন। কলকাতার সামগ্রিক উন্নয়নকে তাঁর নিজস্ব কৃতিত্ব বলে দাবি করছেন। এ মর্মে কুণাল ঘোষ বলেন, “ওনার রাজনীতিতে কোনও গুরুত্ব নেই।
গ্ল্যাক্স বেবি বান্ধবীর আঁচলের তলায় বসে আবোল-তাবোল বকছেন। উনি যদি অতই যোগ্য হতেন তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ালেন না কেন? পুরভোটে নিজের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হয়ে তো দাঁড়াতে পারতেন। আসলে ওনার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। ওনার কথা কেউ শোনে না।”