সোমবার একটি খোলা চিঠি লিখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। যেখানে তাঁর অভিযোগ ‘বিরোধীরা নিম্নমানের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। দেশের আত্মাকে শেষ করার চেষ্টা চলছে।’ দেশজুড়ে লাগাতার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় মোদি সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখেন সোনিয়া গান্ধী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রথম সারির ১৩ জন বিরোধী নেতা। তারই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে এই চিঠি লেখেন জেপি নাড্ডা। নাড্ডার এহেন বক্তব্যের পাল্টা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতাকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
আরও পড়ুন – রাজ্যপালের ‘সীমারেখা’ নিয়ে প্রশ্ন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন খোলা চিঠিতে নাড্ডা লেখেন, “নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াসের নীতিতে যেভাবে ভারত উন্নতির পথে এগোচ্ছে তাতে হতাশ বিরোধীরা। ওদের নিম্নমানের, ভোটব্যাংকের রাজনীতিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। গত ৮ বছরে ভারতের রাজনীতি বদলে গিয়েছে। আজ ভারতে দু’ধরনের রাজনীতি দেখা যাচ্ছে। একদিকে এনডি’র (NDA) উন্নয়নমূলক রাজনীতি, অন্যদিকে কতগুলি বিরোধী দলের নিম্নমানের রাজনীতি। মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এরা আবার ভোটব্যাংকের রাজনীতি করা শুরু করেছে।”
এরই পাল্টা দিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সদ্য শেষ হওয়া ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিরোধীদের কাছে গোহারা হেরেছে বিজেপি। বালিগঞ্জে ওদের জামানত জব্দ হয়েছে। ৩ লক্ষের বেশি ভোটে হেরেছে আসানসোলে। এই হারের দায় তো সভাপতি হিসাবে উনি এড়াতে পারেন না। এদিকে ওদের বিভাজনমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হচ্ছে। তাই মানুষের দৃষ্টি এড়াতে এইসব অবান্তর মন্তব্য করছেন জেপি নাড্ডা।”
শুধু তাই নয়, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। হারের পর বিজেপি নেতারা যেভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছে সে প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, এটা জানাই ছিল। আমরা আগেই বলেছিলাম, কুৎসা দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ওরা নিজেদের আত্মসমালোচনা করুক। পাশাপাশি, কংগ্রেস নেতা প্রয়াত তপন কান্দুর বাড়িতে শুভেন্দুর যাওয়ার প্রসঙ্গে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কংগ্রেসের সবচেয়ে ব্যর্থ নেতা অধীর চৌধুরী। তপন কান্দুর বাড়িতে শুভেন্দুর যাওয়ার অর্থ কি এটা যে এবার কংগ্রেস বিজেপির হাত ধরতে চাইছে? যদি তাই হয়, তবে শুভেন্দু তো নিজের দল সামলাতে পারে না। এবার দায়িত্ব নিয়ে অন্য একটি দলকে তুলে দেওয়ার চেষ্টায় আছে।
এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে বালিগঞ্জের বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম ও বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার কংগ্রেস-সিপিএম- বিজেপি এরা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। এটা এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।