প্রতিবেদন : ধোপে টিকল না শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি। নস্যাৎ করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সারদাকাণ্ডে এখন রীতিমতো লেজেগোবরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন সরাসরি বলেছেন, বারবার ব্ল্যাকমেল করে তাঁর কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে মরিয়া শুভেন্দুর যুক্তি, কোনও আসামি যদি কোনও অভিযোগ করেন তাহলে তা আইনসঙ্গত বলে ধরা হয় না। এটাই শীর্ষ আদালতের নির্দেশ। শুভেন্দুর এই কথা পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে তোপ দেগেছেন কুণাল।
তাঁর পালটা যুক্তি, একজন আসামিকে জেরা করা হয় তদন্তে সাহায্যের জন্যই। আসামির বক্তব্যই যদি ধরা না হয়, তাহলে তাঁর গ্রেফতারি তো বিফল, অর্থহীন। এটা মনে রাখা উচিত শুভেন্দুর। লক্ষণীয়, সারদকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। গৃহীতও হয়েছে তা। সোমবার শুনানির সম্ভাবনা এই মামলার।
এদিকে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর মন্তব্যে কটাক্ষের সুরও পাওয়া গিয়েছে। কুণাল একটি ট্যুইটে শিশির অধিকারী বা দিব্যেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অধিকারী পরিবারের সাংসদদের তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিধানসভায় ভোট দেওয়া উচিত। তার আগে ১৭ তারিখ পূর্ব মেদনীপুরের কাঁথিতে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাতেও ‘আমন্ত্রণ’ জানান কুণাল।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, শুনলাম তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত কোনও সাংসদ বলেছেন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশোবন্ত সিনহাকেই ভোট দেবেন। কিন্তু দিল্লিতে গিয়ে গোপন ব্যালটে দেবেন। তিনি বরং ১৭ তারিখ কাঁথিতে ২১ জুলাই কর্মসূচির সমর্থনে দলের সভায় আসুন এবং পরের দিন দলের সিদ্ধান্ত মেনে কলকাতায় ভোট দিন। না হলে বুঝব মিথ্যা। প্রসঙ্গত, কাঁথিতে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভায় অন্যতম বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জেতা অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের সঙ্গে বিজেপি যোগ আগেই স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু সাংসদ পদ আগলে বসে রয়েছেন তাঁরা। তাই এবার নাম না করে শিশির-দিব্যেন্দু উদ্দেশ্যে কৌশলী বার্তা কুণালের।