ত্রিপুরা পুরসভার ভোট প্রচারে বিজেপির “জয় শ্রীরাম” স্লোগানকে কাউন্টার করে সীতার পাতাল নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এর ফলেই ত্রিপুরার পাঁচটি থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়। আজ, সোমবার একটি মামলায় অমরপুর আদালতে হাজিরা দেন কুণাল ঘোষ। আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর সঙ্গে আদালতে যান তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন-শ্যামনগরের জনসভা থেকে রাজ্যপালকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ত্রিপুরার বীরগঞ্জ, ওম্পি ও নতুনবাজার, এই তিন থানার একই অভিযোগে চার্জশিটের ভিত্তিতে অমরপুর আদালতে মামলা ওঠে। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর তিনটি মামলাতেই জামিন পান কুণাল ঘোষ। অমরপুর আদালতের বিচারক সুস্মিতা দাস প্রতিটি মামলার জন্য ৩০ হাজার টাকার বন্ডে কুণালের জামিন মঞ্জুর করেন।
এই নৈতিক জয়ের পর কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “এই মামলার মধ্যে কোনও সারবত্তা নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রামায়ণের কোনও তথ্য বিকৃত করা হয়নি।”
আরও পড়ুন-“ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি” তোপ মমতার
জামিন নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “রাম আমাদের সকলের ভগবান। রামচন্দ্র একটি শ্রদ্ধার নাম। রাজনীতিতে তাঁর নাম আসবে কেন? রামের নামকে রাজনীতিতে ব্যবহার করছে বিজেপি। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে লাঠি নিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের মারছে বিজেপি। আর আমি বলেছি সীতাকে কেন পাতাল প্রবেশ করতে হল? রাম রাজত্বে কেন মা সীতাকে কেন চলে যেতে হল? এটা রামায়ণে রয়েছে। এটা নাকি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত। হিন্দুত্বের এজেন্সি বিজেপিকে কেউ দেয়নি। আমিও হিন্দু ঘরের সন্তান।”
আরও পড়ুন-৫ বছর ৬ বছর পরও কাজ সম্পন্ন হয়নি, পুরুলিয়ায় গাফিলতির তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে আদালতে নৈতিক জয়ের পর কার্যত বিজয় মিছিল করে সারি সারি বাইক নিয়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা কুণাল ঘোষকে অমরপুর পার্টি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয় স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে। দলীয় দফতরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন কুণাল। তাঁর হাত ধরে একটি বিজেপি পরিবার তৃণমূলে যোগ দেয়। এরপর বিজেপিকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি মামলা দিয়ে ভাবছে আমরা ভয় পেয়ে যাব। আসলে বিজেপি তো আমাকে নিমন্ত্রণ পত্র দিয়ে ডেকে আনলো অমরপুরে। এখানে আসার সুযোগ হল বিজেপির মিথ্যা মামলার জন্য। তাই বিজেপি যত মামলা দেবে তত ঘুরে ঘুরে জোড়াফুল চাষ করবো ত্রিপুরাতে।”