আগরতলায় মহামিছিল থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদলের রহস্য জানতে চাইলেন কুণাল ঘোষ

সোমবার আগরতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Must read

সোমবার আগরতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “কোন অজানা কারণে একজন সুস্থ, সবল মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের ১০ মাস আগে অপসারণ করা হল? জবাব চায় ত্রিপুরাবাসী। জবাব দিক বিজেপি। ত্রিপুরায় সরকারের মুখ মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে, এবার সরকার বদলাতে হবে। মানুষকে আমরা বোঝাবো এই অপদার্থ বিজেপির সরকার পরিচলনার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অপদর্থতার জন্য তাঁকে পদ সরিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের মুখ। তাই অবিলম্বে ত্রিপুরা সরকারের উচিত নতুন ভাবে মানুষের রায় নিতে অবিলম্বে নির্বাচনে যাওয়া।”

আরও পড়ুন-ত্রিপুরার কোর্টে তিনটি মামলায় জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ, অমরপুরে সমর্থকদের বাইক মিছিল

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। জন্মে শিশুসাথী থেকে মৃত্যুতে সমব্যাথী, মাঝে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে একাধিক সমাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার মানুষ। তাহলে কেন বঞ্চিত হবেন ত্রিপুরাবাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেল এখন গোটা দেশে জনপ্রিয়, তাহলে পাশের রাজ্য ত্রিপুরা কেন বাদ যাবে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে খুব সহজেই এমন প্রকল্পে নাম তুলে সরকারি পরিষেবা পাওয়া যায়। এখানে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী রয়েছেন। যাঁর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার দুয়ারে সরকারের আয়োজন করা হয়েছে। এরকম সব পুরসভার ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে, পঞ্চায়েতে, ব্লকে ব্লকে দুয়ারে সরকার চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূল ত্রিপুরাতে সেই প্রকল্প চালু করতে চায়। বাম-কংগ্রেস-বিজেপি সকলেই ত্রিপুরায় পরীক্ষিত, এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে সুযোগ দিন।”

আরও পড়ুন-শ্যামনগরের জনসভা থেকে রাজ্যপালকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন সাংবাদিক বৈঠকের পর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে আগরতলার রাজপথে মহামিছিলে অংশ নেন কুণাল ঘোষ।
রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হাত নেড়ে তৃণমূলের প্রতি আস্থার ইঙ্গিত দেন। মিছিলে পা মিলিয়ে কুণাল বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, “যে দলের নিজেরদের মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা নেই, সেই দলকে মানুষ কীভাবে ভরসা করবে। শুনেছি এখানকার নতুন মুখ্যমন্ত্রী দাঁতের ডাক্তার। তাই দাঁত ব্যথা হলে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যান। ভুলেও তাঁর দলকে ভোট দেবেন না। নোট ভোট টু বিজেপি। মুখ বদলালে কঙ্কাল বদলে যায় না। মুখ্যমন্ত্রী বদল আসলে এই সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেওয়ার পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী বদল হলে সরকার বদল নয় কেন? বিজেপিকে জবাব দিতে হবে। এই সরকারকে মানুষ চান কিনা, সেটা জানতে নতুন করে ত্রিপুরাবাসীর রায় নিতে হবে।”

Latest article