বিজেপিকে ভোট দিতে রাজি না হলে গুলিও চালাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা, তীব্র প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

রবিবার তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে দ্বিতীয় প্রচারসভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

রবিবার তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে দ্বিতীয় প্রচারসভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই বিষয়ে পুলিশে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ পত্র পড়ে শোনান তিনি। মমতা বলেন, বিজেপিকে ভোট দিতে বলাই শুধু নয়, কথা অমান্য করলে গুলিও চালাচ্ছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন-রাজস্থানে ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা, মৃ.ত ৯

মমতা জানান, এর আগেও হিলি সীমান্তে, বালুরঘাটে, মালদহে গুলি চালিয়েছে বিএসএফ। নিজেদের কাজে তারা দক্ষ নয় বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এখন বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বিএসএফ জওয়ানরা। গ্রামের মানুষকে পদ্মফুলে ছাপ দিতে চাপ দিচ্ছে। না শুনলে গুলি চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ পত্র পড়ে শোনান তৃণমূল সভানেত্রী। আফতাব উদ্দিন মিঁয়া সেই অভিযোগটি করেছেন বলে জানান মমতা। সেখানে লেখা রয়েছে, গ্রামের মানুষ যখন মাঠে কাজ করছিলেন সেই সময় নিজেদের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে তাঁদের ডাকেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁরা গেলে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে নির্বিচারে মারধর করেন বিএসএফ জওয়ানরা- অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর। গুলিও চলে। এ বিষয়ে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই চিঠি প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের হাতে তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁকে এবং রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মমতার নির্দেশ দেন, এই চিঠির কপি তৃণমূল ভবনে পাঠাতে এবং নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে।

আরও পড়ুন-এনআরসি নিয়ে রানাঘাট থেকে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এর পরেই বিএসএফের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর কথায়, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার রুখতে পারে না বিএসএফ। এমনকী তারা ভাগ নেয় বলেও অভিযোগ। বিভিন্ন মাদক পাচারও রুখতে ব্যর্থ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর। এখন তারা বিজেপির হয়ে কাজ করছে- সভামঞ্চ থেকে সুর চড়ান মমতা। তাঁর কথায়, এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কোন রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিতে আগে দেখা যায়নি।

Latest article