প্রতিবেদন: একুশের ভোটে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’-এর স্লোগান। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বুধবার বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মেঘনা মিত্রের সমর্থনে জনসভা করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। সেখানে বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন’ তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে কুণাল পালটা বলেন, করোনার সময় উত্তরপ্রদেশের ডাবল ইঞ্জিনের সরকার মৃতদেহগুলি সৎকার না করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছিল। আর আমাদের সরকার সেই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে সৎকার করেছে। আসন্ন পুরভোটে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির পালটা রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেন কুণাল। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সত্তরটিরও বেশি জনমুখী প্রকল্প এনেছে। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প আনা হয়েছে। ভোট দেওয়ার সময় এটা মাথায় রাখবেন। এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মেঘনা মিত্রকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।
আরও পড়ুন-উন্নয়ন দেখে ময়নাগুড়ি পুরসভা তৃণমূলকে উপহার দেবে মানুষ
কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের, পুরমন্ত্রী আমাদের, বিধায়ক আমাদের, চেয়ারম্যান আমাদের, পুরবোর্ডও আমাদের। সেখানে কাউন্সিলরও যদি তৃণমূলের হয় তাহলেই এলাকার উন্নয়ন কেউ আটকাতে পারবে না। বিজেপিকে আক্রমণ করে কুণাল বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে মোদি-শাহরা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে বলেছিলেন ‘আব কি বার, দোশো পার’। তখন কেউ বুঝতে পারেনি আসলে তাঁরা কী বলতে চেয়েছিলেন। ভোটের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তাঁরা পেট্রোল-ডিজেলের দামের কথা বলেছিলেন। পেট্রোল বাড়ছে, ডিজেল বাড়ছে। রান্নার গ্যাস থেকে ভোজ্য তেল, খাদ্যসামগ্রী সব কিছুর দাম বাড়ছে। কৃষকের সারের দাম বাড়ছে, জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ছে। এটা একটা সরকার চলছে? নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ বাদ! এটা একটা আশ্চর্য সরকার। এটা কখনও সাধারণ মানুষের সরকার হতে পারে? ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত নয়। জীবনাবিমার শেয়ার ছাড়া শুরু। বিজেপি বলে ‘ভারত মাতা কী জয়’। একদিকে মায়ের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে, আর অন্যদিকে মায়ের গলা থেকে একের পর এক গয়না খুলে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। তালিকায় শেষ নাম এয়ার ইন্ডিয়া। রোটি, কাপড়া, অউর মকানের লড়াইকে তারা ধর্মের নামে গুলিয়ে দিতে চাইছে। নিজের বক্তৃতায় স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, মদনদা দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। বড় মনের মানুষ। কথা দিচ্ছি তাঁদের পরিবার আপনাদের হতাশ করবে না। এরপর কামারহাটির ২১ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আরও দুটি নির্বাচনী সভা করেন কুণাল ঘোষ।