প্রতিবেদন : কাঁথির সাংসদের হঠাৎ করে সম্পত্তি বৃদ্ধির তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং ইডি-সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh- ED-CBI)। একই সঙ্গে বুধবার সেই চিঠিগুলি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, যেহেতু সারদা মালিক অভিযোগ করেছেন যে ২০১১/১২ সালে কাঁথির অধিকারীরা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেছিল। বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের দিয়েছিলেন তিনি এবং একই সময়ে সাংসদ শিশির অধিকারী সম্পদের পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে হয় ১০ কোটি টাকা। সেই কারণে, আমি প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিবিআই এবং ইডি-র ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছি, এই বিষয়টি সারদা কেলেঙ্কারি মামলার অধীনে এনে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
As Saradha owner alleged that during 2011/12 he had been blackmailed by Adhikaries of Contai and paid huge amount;
And as, in the same period the assets of MP Sisir Adhikari had a huge growth of rs 10 crores;
Therefore, I have written to PM, HM, Director CBI and ED, demanding… pic.twitter.com/eM2Ch515ru— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 8, 2023
এদিন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও শিশিরকে তুলোধোনা করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh- ED-CBI)। বলেন, কুণাল ঘোষের কথার জবাব দিতে হবে না। কিন্তু যে তথ্য নির্বাচন কমিশনে শিশিরবাবু জমা দিয়েছেন, সেই নথি অনুযায়ী বলুন, কী করে একবছরে ১০ কোটি টাকা সম্পত্তি বাড়ল? ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সালে শিশিরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫ লক্ষ টাকা, ২০১১ সালে ১৬ লক্ষ টাকা দেখানো হয়, ২০১২ সালে ১০ কোটির বেশি সম্পত্তি দেখানো হয়। এক বছরে ১০ কোটির বেশি আয় বাড়ে কী করে? এক বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি এল? হিসেবে গন্ডগোল থাকলে সংশোধন করালেন না কেন? প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।
এরপরেই কাঁথির অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, ‘‘কাঁথির সাংসদের সম্পত্তি ২০০৯ সালের নির্বাচনী হলফনামায় ছিল মাত্র ১০ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে মাত্র ৩ বছরে অর্থাৎ ২০১২ সালে শিশিরের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটিরও বেশি! ঠিক যেসময় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি করে ব্ল্যাকমেল করে তাঁর থেকে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন, সেই সময়ই শিশির অধিকারীর সম্পত্তি এত বাড়ল কী করে?”
আরও পড়ুন- বিজেপি ছাড়তেই বিধায়কের বাড়িতে হানা দিল আয়কর
কুণাল প্রশ্ন করন, এক বছরে ১০ কোটি টাকা এল কোথা থেকে? তার পরের বছরগুলিতে আবার রাতারাতি কম দেখান, ৩ কোটি, ১ কোটি— সেই টাকা কোথায় গেল? কাদের দিলেন? মানুষ জানতে পেরে যাবে অধিকারীদের কোটি কোটি টাকা আছে, সেই কারণেই কি চুপিচুপি সরিয়ে চার বছর পর তিন কোটি দেখাচ্ছেন? শিশির অধিকারীর সম্পত্তিবৃদ্ধির যে নথি, লোকসভার রেকর্ডে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটেও রয়েছে।’’ কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, শিশিরের সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ আনার পর বিভিন্নভাবে আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু ১০ কোটি টাকা তাঁর আছে কি না, সেটা বলছেন না কেন? আমি না হয় খারাপ মানুষ, কিন্তু শিশিরবাবু বলুন ১০ কোটির হিসাব ঠিক কি না? যদি ঠিক হয়, তাহলে সারদার টাকা যে অধিকারী ভাইরা বাবার অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেয়নি, সেটা কী করে প্রমাণ করবেন? ওই টাকা সারদার তোলাবাজির টাকা নয়, সেটা কী করে নিশ্চিত হবেন? কুণালের দাবি, যেহেতু একই সময়ে দুটি ঘটনা ঘটছে তাই অবিলম্বে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের সঙ্গে এই সম্পত্তি মামলার তদন্ত করা হোক। সিবিআই-ইডি বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি টাকা খুঁজছে, কাঁথি পুরসভার কোষাগারে এত টাকা পড়ে রয়েছে, সেটা কেন উদ্ধার হচ্ছে না! প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।