প্রতিবেদন : ঠাকুরদাদা ডাঃ মনমোহন ঘোষের বাবা রজনীকান্ত ঘোষ একটি স্কুল স্থাপন করেছিলেন তাঁর গ্রাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বেণীপুরে। এলাকার প্রথম স্কুল। পরে স্কুলটি সরকার অধিগ্রহণ করে, নাম বেণীপুর হাইস্কুল। আজও তার একটি অংশে রজনীকান্ত ঘোষের স্মৃতি বহন করছে। বুধবার সেই স্কুলের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-ডিম উৎপাদনের হারে সেরা বাংলা
আবেগ, অনুভূতি, নস্টালজিয়াতে ভরপুর এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে কুণাল ঘোষ বলেন, কয়েক দশকের ঐতিহ্য নিয়ে এই স্কুল এগিয়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য পরিষেবা দিচ্ছেন রাজ্যবাসীকে। তাই ছাত্রছাত্রীরা শুধু মন দিয়ে পড়াশুনা করে যাও। তোমাদের অভিভাবকদের চাপ কমিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলছুট আটকে গিয়েছে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী হয়েছে।
তাঁর ঘোষণা, কো-এডুকেশন স্কুলে ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক শৌচালয় দরকার। এক মাসের মধ্যে দুটি শৌচালয়ের টাকা পেয়ে যাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি সেই দায়িত্ব নিলেন। এছাড়া ৫ জন মেধাবী পড়ুয়া, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে যারা অভাবী, তাদের জন্য পিতা কল্যাণ ঘোষের নামাঙ্কিত স্কলারশিপ দেবেন।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুণ্ডু, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক, প্রাক্তন শিক্ষিকা জয়শ্রী দত্ত, বিধায়ক নমিতা সাহা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুনা ইয়াসমিন, মগরাহাটের ওসি আসাদুল শেখ, জেলা পরিষদের সদস্য অনুপকুমার বৈরাগী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ইউনুস আলি মল্লিক, বিশ্বনাথ সরদার (সমাজসেবী), বাচ্চু শেখ প্রমুখ।