তৃণমূলে নবজোয়ারে গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বিজেপির গদ্দার নেতা ভয় পেয়ে অবান্তর কথা বলছে। মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে এই চেষ্টা। এদিন গদ্দারের একাধিক অভিযোগের কড়া জবাব দিল তৃণমূল।
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তীব্র আক্রমণ করে বলেন, নবজোয়ারে জনজোয়ার দেখে ভয় পেয়েছে শুভেন্দু। একতরফা বক্তব্য লোডশেডিংয়ে জেতা বিধায়কের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ভয়-হতাশা থেকেই অবান্তর কথা বলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ও খরচ নিয়ে অভিযোগের জবাবে তৃণমূল বলছে, তাঁর নিজস্ব একটা নিরাপত্তা আছে। বড় ইভেন্ট হলে পুলিশ একটু বেশি থাকে। সেটা শুভেন্দুর জানা উচিত। সিবিআই-ইডির অফিসাররা আসছেন অন্য রাজ্য থেকে। বিভিন্ন জায়গায় তারা ঘুরছে কাদের টাকায়? ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে পেগাসাস কিনে বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার খরচ কে দিত? শুভেন্দুর যোগসাজশে ৮৪২ জনের চাকরি হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৫ জনের চাকরি গিয়েছে। এজেন্সি কবে ওকে জেরা করবে? প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।
আরও পড়ুন- ED-CBI ওকে জেলে ঢোকাবে: নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের
মণিপুরের ডবল ইঞ্জিন সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মণিপুরে কী হচ্ছে? আসানসোল কম্বলকাণ্ডে আজও মৃতের বাড়িতে পর্যন্ত যায়নি। রামনবমীতে বন্দুক হাতে সুমিত সাউ ধরা পড়ল। কনভয়ে যুবককে পিষে দিল। এরা আবার আইনের কথা বলে। সারদাকর্তার চিঠিতে ওর নামে অভিযোগ। এখন এটা-ওটা বলে নজর ঘোরাচ্ছে। কাঁথি পুরসভার অ্যাকাউন্টে ড্রাফটে সারদার ৫০ লক্ষ টাকা আছে কি না বলুক। সিবিআই তদন্ত করবে। আজ না হোক কাল, ওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে। কতদিন বিজেপি ওকে বাঁচাবে। কয়েকদিন দেখব, তারপর সিবিআইয়ের কাছে যাব, হুঁশিয়ারি কুণালের।