সংবাদদাতা, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া : টানা পাঁচদিন পর রবিবার সকালে কুর্মি সংগঠনগুলির অবরোধ (Kurmi Community Agitation) আন্দোলন উঠে গেল। শনিবার মধ্যরাতে বিক্ষোভরত কুর্মি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এরপর সকাল সাতটা নাগাদ খেমাশুলি থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কুস্তাউরেও উঠে যায় রেল অবরোধ। যদিও শনিবারই কুর্মি সম্প্রদায়ের (Kurmi Community Agitation) নেতারা জানান, আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তার পরেও অবশ্য অবরোধ চলছিল। তিন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর জট কাটে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন কুর্মি নেতারা। শনিবারে উঠে গিয়েছিল লোধাশুলির অবরোধ। রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ পুরুলিয়ার কাস্তাউর রেল স্টেশনের অবরোধ আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বলেন কুর্মি সেনার রাজ্য সভাপতি সুদীপ রায় মাহাতো। খেমাশুলির আন্দোলনকারীদেরও টেলি-কনফারেন্সে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষে ৭ দিনের মধ্যে সংশোধিত সিআরআই রিপোর্ট (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট) কেন্দ্রকে পাঠানোর কথা শোনার পরই আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খেমাশুলিতে অবরোধ উঠে গিয়েছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফেও জানানো হয়। ইতিমধ্যে খড়্গপুর-টাটা সেকশনে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। জাতীয় সড়কেও শুরু হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। তবে অবরোধকারীরা এদিন হুঁশিয়ারি দেন, কাজ না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে। কুর্মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কুর্মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা এবং কুর্মিদের সারনা ধর্মকে কোড-সহ সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কুর্মি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন। প্রথমে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সংযোগস্থল খেমাশুলিতে রেল এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে শুরু হয় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ঝাড়গ্রাম শহরে ঢোকার ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ আন্দোলন। এর ফলে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রের মানুষজন। শেষ পর্যন্ত অবরোধ উঠে যাওয়ায় ফিরল স্বস্তি।