প্রতিবেদন : হিংসাত্মক আন্দোলনের মোকাবিলায় কর্তব্যরত বাহিনীকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ বডি-স্যুট তৈরি করাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বাহিনীর মনোবল বাড়াতে প্রথম পর্যায়ে ৫০০টি বডি প্রোটেক্টর জ্যাকেট (Body Protector Jacket- Lalbazar) কিনছে লালবাজার। খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সঙ্গে আসছে ১০০০ পলিকার্বনেট ব্যাটন এবং ৫০০ পলিকার্বনেট শিল্ডও। আন্দোলনের নামে অতিসম্প্রতি মহানগরীর বুকে আইএসএফ-এর কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডবের পরেই এ বিষয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা শুরু করে প্রশাসন। নেওয়া হয় দ্রুত সিদ্ধান্ত। লক্ষণীয়, তাণ্ডবের মোকাবিলা করে জনজীবনকে স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন অন্তত ২৮ পুলিশকর্মী। শুধুমাত্র এই একটি ঘটনাই নয়, বামপন্থী এবং গেরুয়া আন্দোলনও একাধিকবার হিংসাত্মক আকার ধারণ করেছে কলকাতায়। আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। নবান্ন অভিযানের নামে কলকাতা এবং হাওড়ায় বিপর্যস্ত করার চেষ্টা হয়েছে জনজীবন। নেপথ্যে থেকেও অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন হিংসাত্মক আন্দোলনে মদত জুগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি এবং সিপিএম। এই কারণেই বিশেষ পদক্ষেপ পুলিশের। পুলিশের এই অত্যাধুনিক বডিজ্যাকেট বা রায়ট-গিয়ার এমনভাবে তৈরি করানো হচ্ছে যাতে সব ঋতুতেই তা স্বাস্তিদায়ক হয়। গরম, শীত বা আর্দ্রতায় তা অস্বস্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। আর্মগার্ড, শিনগার্ড এবং গ্রয়েনগার্ডের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পাচ্ছে এই বিষয়টি। চেষ্টা করা হচ্ছে রায়ট-গিয়ারের ওজন যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। যাতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা অনায়াসেই মোকাবিলা করতে পারেন হিংসাত্মক আন্দোলন বা বিক্ষোভের। মাসখানেকের মধ্যেই টেকনিক্যাল ডেমনস্ট্রেশনের কাজ সেরে ফেলতে চায় কলকাতা পুলিশের সদর দফতর। কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার মতে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও পর্যন্ত যা ব্যবস্থা, তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রমণকারীদের খুব কাছে গিয়ে হিংসার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। তাছাড়া, চলতে গিয়ে হেলমেট বা জ্যাকেটে ছোটখাটো ইটবৃষ্টি বা পাথর ছোঁড়ার ব্যাপার কোনওরকমে মোকাবিলা করা গেলেও ভারী বস্তুর আঘাত প্রতিরোধ বেশ কষ্টসাধ্য। এই সমস্যার সমাধানেই রায়ট-জ্যাকেটের (Body Protector Jacket- Lalbazar) আরও আধুনিকীকরণ জরুরি। কলকাতা পুলিশের অগ্রাধিকার সেখানেই।
অত্যাধুনিক বডিস্যুট, পলিকার্বনেট ব্যাটন ও শিল্ড কিনছে লালবাজার
হিংসা রুখতে পুলিশের প্রোটেক্টর জ্যাকেট