প্রতিবেদন : তাঁদেরই জমির উপরে গড়ে উঠেছে বন্দর। প্রতিদিন ভোরে ঘুম ভাঙে কলকারখানার ভোঁ-এ। কিন্তু আজও কথা রাখেনি হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। পালন করেনি পুনর্বাসন কিংবা চাকরির প্রতিশ্রুতি। সময়ের হাত ধরে সমৃদ্ধি ঘটেছে হলদিয়া বন্দরের এবং শিল্পনগরীর। কিন্তু বন্দর গড়ার জন্য জমিদাতা প্রায় ৫০০ পরিবারের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চয়তার অন্ধকারে। চাকরি এবং আর্থিক পুনর্বাসনের দাবিতে ২০১৪ থেকে একটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জমিদাতারা।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জন
হলদিয়া উদ্বাস্তু কল্যাণ সমিতির ডাকে চলছে সুদীর্ঘ অবস্থান আন্দোলন। অশোককুমার মান্নার নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি হলদিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন। অশোকবাবুর অভিযোগ, তাঁদেরই দেওয়া জমি বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যান্য সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। সেখানে চাকরি দেওয়া হচ্ছে অন্য জায়গার লোকদের। কিন্তু হলদিয়ার জমিদাতারাই চাকরি পাচ্ছেন না। অথচ জমি নেওয়ার সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ছিল, প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-পিএফ বঞ্চনা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক
অতিরিক্ত জেলাশাসক, হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পদস্থ আধিকারিক এবং পুরসভার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি স্ক্রিনিং কমিটিও গঠন করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, আর্থিক অবস্থার নিরিখে জমিহারাদের মধ্যে অন্তত ১০৫টি পরিবারকে বেছে নিয়ে প্রতি পরিবারের একজনকে জরুরি ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হোক। বাছাই করা ১০৫ পরিবারের একটি তালিকা পেশ করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি।