প্রতিবেদন : সিংহাসন থেকে রাজমুকুট। অগণিত ভক্ত থেকে রাজত্ব। পড়ে রইল সব। চলে গেলেন শুধু সম্রাজ্ঞী। কোটি কোটি ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে চিরবিদায় সুরসম্রাজ্ঞীর। লতা মঙ্গেশকর নেই। রইল তাঁর কাজ আর স্মৃতি। আপাতত তাই নিয়েই বাঁচবে ভক্তকুল। সে রকমই এক ভক্তের দেখা মিলল এ শহরে। নাম শেখ মহম্মদ দানিশ।
আরও পড়ুন-বিদায়বেলায় জাঁকিয়ে শীত
পেশায় রেকর্ড বিক্রেতা। মধ্য কলকাতার ফ্রিস্কুল স্ট্রিটে তাঁর রেকর্ডের দোকান, ‘রেকর্ড প্রিন্স’। এমপি থ্রি, ডিভিডির জমানায় এখনও সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছেন পুরনো রেকর্ড। রেকর্ড বেচেই চলে সংসার। লতার কথা উঠতেই উধাও ব্যবসাদারের পেশাদারিত্ব। আবেগপ্রবণ হলেন লতার ভক্ত দানিশ। সংগ্রহে লতাজির ঠিক কত রেকর্ড আছে মনে করেও বলতে পারলেন না। বলছিলেন, এত বড় শিল্পী আর হবে না। আজ খুবই দুঃখের দিন। সেই কবে ’৬২ সালে বাবা শেখ মহম্মদ আনিশ রেকর্ডের দোকান শুরু করেন। তারপর এখন তিনি। তাও প্রায় বিশ বছর হবে। বলছিলেন, লতাজির রেকর্ডের চাহিদা কখনও কমেনি। আজও নতুনদের পাশে সমান তালে তাঁর রেকর্ড বিক্রি হয়। চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তাঁরা রেকর্ড সংগ্রহ করেন। আর সেক্ষেত্রেও লতা মঙ্গেশকরের গান একদম প্রথমদিকেই রয়েছে। দানিশ বলছিলেন, লতাজির গানের কালেকশন নিয়ে বলা কঠিন।