অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার পর্যটনের নতুন দিগন্ত হতে চলেছে লাউদোহার ইকো-ট্যুরিজম পার্ক। দক্ষিণবঙ্গের পিকনিক মানচিত্রে দ্রুত জায়গা করে নেওয়া এই নতুন ডেস্টিনেশন ঘিরে এখন রীতিমতো সুখস্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে জেলাবাসীর। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে এবারও জাঁকিয়ে পড়বে শীত। আর শীত পড়তেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যাবে পিকনিকের প্ল্যান। পশ্চিম বর্ধমান জেলার খনি শিল্পাঞ্চল এলাকার মানুষের পিকনিক করতে কাছেপিঠে যাবার তেমন কোনও জায়গা এতকাল ছিল না বললেই চলে। ছিল না কোনও শিশু বিনোদন পার্কও। বছরকয়েক আগে সেই বাস্তব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতি।
আরও পড়ুন-বিচারপতি নিয়োগ
সরপি গ্রাম লাগোয়া একটি সরকারি পরিত্যক্ত জায়গাতেই গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয় একটি পরিবেশ সহায়ক ইকো-ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের। খনি এলাকার মানুষ সপ্তাহান্তে পরিবার নিয়ে যাতে ছুটি কাটাতে এই ইকো পার্কে এসে প্রকৃতির সঙ্গে কয়েকঘণ্টা কাটাতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই গড়ে তোলা হয় মনোরম এই উদ্যানটি। রাজ্য সরকারের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় এই পার্ক। মাঝে করোনার অতিমত্রির কারণে বেশ কয়েকমাস পার্ক নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখা হলেও সম্প্রতি পার্কটিকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই উদ্যানে একদিকে যেমন রয়েছে অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য গাছের সম্ভার, তেমনই শিশু মনোরঞ্জন সহায়ক বেশ কয়েকটি রাইড রাখা হয়েছে এখানে। সেচ দফতরের উদ্যোগে পার্কের ভিতরেই তৈরি হয়েছে দুটি মনোরম জলাশয়।
আরও পড়ুন-অভিযোগ কেজরির
পর্যটকদের জলবিহারে আকর্ষণ বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফরিদপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায়। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পার্কের আকর্ষণে জেলা ও জেলার বাইরের পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন। এখানে তৈরি হয়েছে একটি অতিথি নিবাস। মোট ছয়টি ঘর রয়েছে কটেজটিতে বলে জানান সুজিতবাবু। আগামী দিনে এই উদ্যানটি পরিবেশপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আশা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর।