প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক ভাবে অনগ্রসর মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) পেয়েছে অভাবনীয় সাড়া। সমাজের একেবারে প্রান্তিক মহিলারাও যাতে প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে আরও তৎপর হল প্রশাসন। এখন থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্পে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলে দুয়ারে সরকার শিবির থেকেই তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সব জেলাশাসকদের কাছে এই মর্মে পৌঁছে গিয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ।
আরও পড়ুন – ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ কমিউনিস্ট যমুনা বিশ্বাসের
পাশাপাশি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রত্যেক উপভোক্তার থাকতে হবে একটিই মাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি এড়াতেই এই পদক্ষেপ। কারণ, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে, একই নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকায় একজন কেউ কেউ অনেক বেশি টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। এমন ঘটনা এড়াতে জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, দুয়ারে সরকার শিবির থেকে খাদ্যসাথী-বার্ধক্য ভাতা-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো পরিষেবা দেওয়ার সময় আধার সংযুক্তিকরণ করে দিতে হবে। সরকারের নানা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকেও আরও সক্রিয় করা হবে। বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির আবেদনকারীদের কীভাবে যুক্ত করা যায় তার জন্য জেলাশাসকদের একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’তিনটি পাড়ায় শিবির করতে হবে। যাঁরা সমস্যা জানাতে আসবেন, তা শুনতে হবে পাড়ায় সমাধান শিবিরেই। পাশাপাশি দুয়ারে সরকার শিবিরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য এবার আলাদা কাউন্টার করে দেওয়া হবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড এবং আর্টিজান ক্রেডিট কার্ড পেতে যাঁরা আবেদন করবেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার দুয়ারে সরকার শিবির এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় সমাধান শিবির শুরু হচ্ছে।