প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে রাত থেকেই অপেক্ষা করছিলেন ত্রিপুরাবাসী। ভোরের আলো ফুটতেই আগরতলার জিবি হাসপাতালের মর্গের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সময়ের সাথে ক্রমশ কালো মাথার ভিড় বেড়েছে। এরপর সেখান থেকে বাঁধারঘাটের মিলনপল্লির বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তৃণমূল নেতা মজিবর ইসলাম মজুমদাদের কফিন বন্দি নিথর দেহ।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেতা মজিবুরকে হত্যার অভিযোগ তুলে ত্রিপুরায় উঠল খুনের মামলা রুজু করার দাবি
ঢল নেমেছে মানুষের। চোখের জল বাঁধ ভেঙেছে তসলিমার। অবুঝ মুখে ভাষা ছিল না মজিবরের ৯ বছরের ছেলে তনবির ও ৬ বছরের মেয়ে মেহেরিনের। ক্ষতি অপূরণীয়। তবুও দলের পক্ষ থেকে প্রয়াত নেতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্থিক সাহায্য। সুবল ভূমিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা থেকে মজিবরের মৃতদেহ নিয়ে আগরতলায় যাওয়া ব্রাত্য বসু, শান্তনু সেনরা। প্রতিটিক্ষণের খবর নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-চার পুরসভায় ভোট পিছনো নিয়ে কমিশনের অবস্থান কী? হলফনামা চাইল Kolkata High Court
আগরতলায় শেষশ্রদ্ধা জানানোর পর সোনামুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় মজিবুর ইসলাম মজুমদারের মৃতদেহ। সেখানে জেলা পার্টি অফিসে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল নেতা ও সহকর্মীরা। সেখান থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার শোক মিছিল করে তৃণমূল নেতার মরদেহ দুর্গাপুরে তাঁর পৈতৃকভিটেতে নিয়ে আসা হয়। এই যাত্রাপথে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ পা মিলিয়েছেন। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শহিদ মজিবর ইসলাম মজুমদারের।
আরও পড়ুন-নিহত আরও ৩, ৮ দিনে ১৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনাবাহিনী
সেই বাম আমল থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন গড়তে মজিবর ইসলাম মজুমদারের অবদান ছিল অতুলনীয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে নিজে ভোটে লড়েছিলেন মজিবর। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, মজিবর ইসলাম মজুমদারের হত্যার প্রতিবাদে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মোমবাতি মিছিল কর্মসূচি নেওয়া হয় রাজ্যের সমস্ত জেলা, মহকুমা এবং ব্লকে। সৎ, নিষ্ঠাবান, নিপাট ভদ্র সজ্জন মজিবকে হারিয়ে কাঁদছে ত্রিপুরা।