প্রতিবেদন : কেন্দ্রের এজেন্সি রাজনীতি বন্ধ করতে তৃণমূল-সহ ৯ দল চিঠি দিয়েছিল। চিঠি দেয়নি কংগ্রেস (Congress) এবং ডিএমকে (DMK)। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ৯ দলের পাশে দাঁড়াল স্ট্যালিনের ডিএমকে। বিরোধী নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবড়িদেবীর বাড়িতে যায় সিবিআই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ লালুপ্রসাদের বাড়িতে। আর ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকন্যা কবিতাকে ইডির সমন। এরপর সম্ভবত স্ট্যালিন (M. K. Stalin) বুঝে ছিলেন বিপদ এবার যেকোনও দিন ঘরের দিকেই আসতে পারে। এখন চুপ করে থাকার অর্থ হল আগামিদিনে কাউকে পাশে পাওয়া যাবে না। তাই ৯ নেতার প্রতিবাদী ঝাঁঝ বজায় রেখেই কেন্দ্রের এজেন্সি রাজনীতির বিরোধিতা করে চিঠি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। সিসোদিয়া থেকে শুরু করে বাংলার এজেন্সির দাপটের কারণে বহু বিরোধী রাজনতীকিতরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই ক্ষোভ ফ্লাডগেট খুলে যায় ৯ নেতার চিঠিতে। স্ট্যালিন (M. K. Stalin) স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে ভুয়ো অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকে জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। শাসক দলের সন্তুষ্টির জন্য আইনব্যবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিজেপির আমলে তদন্তকারী সংস্থাগুলির সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। প্রায় একই কথা ছিল বিরোধী নেতৃত্বের কণ্ঠে। বিজেপির সঙ্গে জোট করতে করতে কংগ্রেস ক্রমশ একাকী এবং দিশাহীন হয়ে পড়েছে। স্ট্যালিন আসলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যথা সময়ে প্রতিবাদ না করলে আগামিদিনে মানুষ ক্ষমা করবে না।