আব্দুল করিম টুন্ডার (Abdul Karim Tunda) বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বেকসুর খালাস পেলেন ১৯৯৩ সালে দেশের একাধিক জায়গায় ট্রেনে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত টুন্ডা। বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিল রাজস্থানের বিশেষ আদালত। তবে একই মামলা দুই অভিযুক্ত আমিনুদ্দিন এবং ইরফানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ‘কালো শুক্রবারে’ দেশের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। মোট ১৩টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহত হন ৭১৩ জন। গোটা দেশই কার্যত থরথরিয়ে উঠেছিল মৃত্যু-রক্ত-ধ্বংসের নারকীয় রূপ দেখে। আজও অধরা এই হামলার মূল চক্রীদের অনেকেই।
আরও পড়ুন- ফের বিজেপি ক্ষমতায় এলে গ্যাসের দাম হবে ২০০০! মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
১৯৯৩ সালে লখনউ, কানপুর হায়দরাবাদ, সুরাত এবং মুম্বইয়ে ট্রেনে পর পর বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন অনেকে। ১৯৯৩ সালের সেই বিস্ফোরণের মূল চক্রী হিসাবে অভিযুক্ত হন টুন্ডা (Abdul Karim Tunda)। ১৯৯৬ সালের হরিয়ানার সোনিপতে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য দিকে, ১৯৯৭ সালের আরও একটি বোমা বিস্ফোরণের মামলায় গত বছরেই টুন্ডাকে বেকসুর খালাস করে হরিয়ানার এক আদালত। সেই মামলাতেও প্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাস করে আদালত। ১৯৯৭ সালের ২২ জানুয়ারি হরিয়ানার পুরতান সব্জি মণ্ডি এবং কিলা রোডে বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে নেপাল সীমান্ত থেকে টুন্ডাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।