প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। ফের বললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Indian Economist Amartya Sen)। জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের সব যোগ্যতাই রয়েছে তাঁর মধ্যে। একইসঙ্গে তাঁর মত, ২৪-এর নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তি উঠে আসুক। এটাই কাম্য। লড়াইটা হোক সাম্প্রদায়িক শক্তি বিসর্জনের লক্ষ্যে। গান্ধীজি, রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারায় বজায় থাকুক ঐক্যের ধারাবাহিকতা। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের কথা বলছেন, গভীরভাবে ভাবছেন, সত্যিই ভাল লাগছে। দুই বাংলাতেই শৈশবের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে নোবেলজয়ীর। তাঁর কথায়, এখানে এবং ঢাকায় হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি থেকেছে শান্তিতে। আমি পছন্দ করি অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। যাঁরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পছন্দ করেন তাঁদের কাছে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। সোমবার শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের (Indian Economist Amartya Sen) বাড়ি ‘প্রতীচী’তে যান মুখ্যমন্ত্রী। জমি-বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়ান। সরকারি নথিপত্র তুলে ধরে প্রমাণ করে দেন, অমর্ত্য সেনই সঠিক। মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে নোবেলজয়ী আবারও বুঝিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী পদের সম্পূর্ণ উপযুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য তার মানে এই নয়, অন্য কারও সেই যোগ্যতা নেই। লক্ষণীয়, দিনকয়েক আগেই নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তাঁর এই মতকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। তবে সোমবার তিনি একইসঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিকাশের উপর। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, দেশে দুর্নীতি কেন হয় এবং তা কীভাবে বন্ধ করা যায় তা ভাবা দরকার। দুর্নীতি থেকে যদি পচন শুরু হয়, তা হলে তো ভাবতেই হবে।
আরও পড়ুন-সর্বদল বৈঠকে জরুরি দাবি তুলল তৃণমূল