দোহা, ১৮ ডিসেম্বর : একদিকে স্বপ্নপূরণের উল্লাস। অন্যদিকে, স্বপ্নভঙ্গের হতাশা! লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe- Lionel Messi)। একজন নায়ক তো অন্যজন ট্র্যাজিক হিরো।
রবিবারের রাতটা কোনও দিন ভুলতে পারবেন না মেসি। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে বাড়তি পাওনা টুর্নামেন্টের সেরা হয়ে পাওয়া সোনার বল। সাত গোল ও চারটে অ্যাসিস্ট। এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর সোনার বল আর কে ছিনিয়ে নিতে পারত! প্রাপ্তির ঝুলিতে আরও রয়েছে। এদিন মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে একজন খেলোয়াড়ের সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন মেসি (২৬টি)। ছাপিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন জার্মান অধিনায়ক লোথার ম্যাথুজকে (২৫টি)। এদিকে, বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক! সেই কবে, ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট। ৫৬ বছর পর সেই নজির ছুঁলেন এমবাপে (Kylian Mbappe- Lionel Messi)। কিন্তু টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয় অধরাই থেকে গেল। ৮ গোল করা ফরাসি তারকার সান্ত্বনা টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার হয়ে পাওয়া সোনার বুট। কিন্তু তাতে কি কাপ হাতছাড়া করার আফশোস মেটে! বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপারের পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন গ্লাভস পেলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেরা উঠতি খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেলেন আরেক আর্জেন্টাইন এনজো ফার্নান্ডেজ।
আরও পড়ুন-অবিশ্বাস্য ম্যাচে টেক্কা জাদুকরের