অনুপম সাহা, শীতলকুচি : ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল রাজ্য বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচি কেন্দ্রের জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলি এমএসকে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ৫/১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ গ্রামবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য জুড়ে। সে সময় এই গ্রামের মরিয়ম (Mariam) খাতুনের বয়স ছিল মাত্র ৪৫ দিন। মৃত ৪ জনের মধ্যে ছিলেন তার বাবা মনিরুজ্জামান। এখন মরিয়মের বয়স ১ বছর ৪৫ দিন। ছোট্ট মরিয়ম (Mariam) মায়ের গলা আঁকড়ে আজও খুঁজে বেড়ায় জওয়ানদের নির্মম গুলিচালনার শিকার তার বাবাকে। ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার প্রতিপালন করতেন মনিরুজ্জামান। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ছাড়াও পরিবার-পিছু একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনওরকম সাহায্য মেলেনি। আমতলি এমএসকে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছে। রবিবার শীতলকুচি-কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হবে। এই উপলক্ষে এলাকার বাসিন্দারা শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির নামে স্মরণসভা করতে চলেছে।
মরিয়মের মা রাহেলা খাতুন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার যথেষ্ট সাহায্য করেছে। তাদের চাকরিতেই আমাদের সংসার চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কিছুই পাইনি। আমরা অপরাধীদের শাস্তি চাই।’’ শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি আলিজার রহমান বলেন, ‘‘যারা সেদিন গুলি চালিয়েছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের দাবিও জানাচ্ছি। এই দাবিতে আমাদের আন্দোলন আগামী দিনে আরও জোরদার হবে।’’