প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে তিনি পিছিয়ে পড়ছেন। এমনকী, নির্বাচনে তিনি হেরেও যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (UK PM Candidate Rishi Sunak)। প্রথমদিকে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ঋষি এখন বলেছেন, জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী লিজা ট্রুসের থেকে তিনি বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন। ঋষির এই আশঙ্কা যে একেবারে ভিত্তিহীন নয় সেটা প্রমাণ হল সেদেশের বেটিং এক্সচেঞ্জ ফার্ম স্মার্কেটসের বক্তব্যে। এই সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লিজা ট্রুসের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। সেখানে সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাশ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে এখনই আর্থিক সাহায্য করবে না বিশ্বব্যাঙ্ক
সংস্থার রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ম্যাথু শ্যাডিক বলেছেন, প্রথমিক লড়াইয়ের পর লিজার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৬০ শতাংশ। সুনকের (UK PM Candidate Rishi Sunak) সম্ভাবনা ছিল ৪০ শতাংশ। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে পরিস্থিতি ততই লিজার পক্ষে গিয়েছে। তাই বরিস জনসনের উত্তরাধিকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন ঋষি। কেউ কেউ ভাবছেন এখনও লিজার থেকে সামান্য হলেও এগিয়ে আছেন ঋষি। কিন্তু বাস্তব চিত্র তা বলছে না। বিভিন্ন বিতর্ক সভায় লিজা দুর্দান্ত বক্তব্য রেখেছেন। তাই তিনি ঋষিকে পিছনে ফেলেছেন। সমীক্ষক সংস্থা ব্লুমবার্গের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির বিপুল সংখ্যক সাংসদ লিজার পাশেই রয়েছেন। বিশেষ করে বরিস ঘনিষ্ঠরা রয়েছেন লিজার পাশেই। উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এখন দেখার মাঝের এই সময়ে ঋষি পরিস্থিতি কতটা নিজের অনুকূলে আনতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনার কারণেই ঋষি ক্রমশ সধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন। আর সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছেন লিজা। ঋষি তাঁর প্রচারে বলছেন, এখনই সাধারণ মানুষের উপর থেকে করের বোঝা কমানো সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়ন ও সততার সঙ্গে কাজ করতে গেলে কর কমানো অসম্ভব। কিন্তু লিজা বলছেন, ক্ষমতায় এলে প্রথমেই কর কমানোর ব্যবস্থা করবেন। ব্রিটেনের কর পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করা প্রয়োজন।