সংবাদদাতা, বালুরঘাট : কেন্দ্রের উদাসীনতা, সর্বোপরি প্রতিহিংসামূলক নীতির জন্য আট বছরেও হয়নি হিলিতে স্থলবন্দর বা ল্যান্ডপোর্ট। এলাকার মানুষ স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকেও এর জন্য দায়ী করছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির মধ্যে হিলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট দিয়ে চলে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য।
আরও পড়ুন-কারা মোদের সব লুটেছে, স্মরণ আছে…
এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মানুষ যাতায়াত করেন। বাণিজ্যিক সুবিধায় হিলিতে স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল বহু আগেই। বন্দর গড়ে তোলবার দাবিতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের নানা পর্যায়ে বহু দরবার করেছেন হিলির আমদানি ও রফতানিকারীরা। ভারত থেকে লরিতে পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা, ফলমূল, মাছ ইত্যাদির পাশাপাশি চিনি, জিরে, ডাল, পোশাক ইত্যাদি যায় বাংলাদেশে। ওপার থেকে আসে ইলিশমাছ ও মশলাপাতি। এই চেকপোস্টে বাণিজ্য থেকেই শুল্ক আদায় হয় মাসে অন্তত ৩০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-মানুষের পরিষেবায় দুয়ারে কাউন্সিলর
স্থলবন্দর না থাকায় কম হয় আমদানি-রফতানি। শুল্ক আদায়ও কমে যায়। বাংলাদেশে অস্থিরতায় চেকপোস্ট বন্ধ হলে হাজার হাজার ট্রাক ও লরি আটকে পড়ে। পচতে থাকে কাঁচামাল । কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় ব্যবসায়ীদের। তা থেকে বাঁচতে বারবার দাবি তোলা হয় স্থলবন্দরের। এটি হলে দীর্ঘ সময় ঠাণ্ডাঘরে রাখা যাবে কাঁচামাল। থাকতে পারবেন গাড়িচালক ও অন্যরা। কেন্দ্রীয় সরকার একবার উদ্যোগ নিয়েছিল। জমি চিহ্নিত করতে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির একটি দল আসে ২০১৫-র অক্টোবরে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনটি জায়গা দেখা হয়। হিলির উজালে ১০ একর জমিটি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। জমি দিতে রাজি ছিলেন জমিমালিকেরা। তারপরেও কোনও সঙ্কেত মেলেনি ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির পক্ষে।