প্রতিবেদন : সম্প্রতি, হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দলবদল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিশেষ করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট সেই জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। তবে লকেট সত্যিই তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন কিনা সেই উওর দেবে সময়!
কিন্তু এরই মাঝে ফের লকেটকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। আজ, শনিবার বিজেপি’র নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে গরহাজির হুগলির বিজেপি সাংসদ। অথচ, সেই অনুষ্ঠানে গেরুয়া শিবিরের বড়-মেজ-ছোট, সব নেতারাই ইচ্ছা বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাজির।
আরও পড়ুন :স্কুল-ফি না দিলেও বসতে দিতে হবে পরীক্ষায়,স্কুল-ফি না দিলেও বসতে দিতে হবে পরীক্ষায়
এদিন সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র (EZCC)-এর প্রেক্ষাগৃহে ছিল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা থেকে শুরু করে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ছিলেন মঞ্চে। দলের বাকি সাংসদ এবং বিধায়করাও হাজির ছিলেন। কিন্তু ছিলেন না বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও লকেটের দাবি, তিনি দিল্লিতে দলেরই কাজে ব্যস্ত থাকায় এদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি।
কিন্তু লকেটের এই মন্তব্যে চিড়ে ভেজার নয়। রাজ্য বিজেপির একটি অংশ বলতে শুরু করেছে, লকেট চট্টোপাধ্যায় নাকি বাবুল সুপ্রিয়র মতোই গেরুয়া শিবিরে এখন অতীত। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা লকেটকে দলে ধরে রাখতে ঘন ঘন বৈঠক করেছেন হুগলির সাংসদের সঙ্গে। তবে তাতে বিশেষ লাভ হবে বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল।
Loket chatterjee-bjp-sukanta majumder-Reception