হাতিবাগানের হারিয়ে যাওয়া টোলসংস্কৃতি

Must read

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় : এক সময়ে টোলগুলিতে প্রাচীন হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র এবং সংস্কৃত সাহিত্য পড়ানো হত। টোলগুলি ছিল মাধ্যমিক শিক্ষা-সহ উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ। গত শতকের শেষ আর এই শতকের গোড়ার দিকে বাংলার টোলগুলো প্রায় সম্পূর্ণ উজাড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে টোল মৃতপ্রায়, আর বিস্তর কাব্যতীর্থ বেদান্তবাগীশ বেকার হয়ে গিয়েছেন।

তবে এখনও সংস্কৃত শিক্ষার ব্যবস্থা যেমন আছে, তেমনই উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে অন্য এক ধরনের টোলের দেখা মিলবে। কেমন আছে এখানকার টোলগুলি?

বিটি রোডে খান্না সিনেমা থেকে কিছুটা পশ্চিমে হাঁটলেই  ‘প্রাচীন হাতিবাগান টোল মহাকালী আশ্রম’।এখন দায়িত্বে গৌতম ভট্টাচার্য, পরেশনাথ ভট্টাচার্য। এখন পুজো হয়। হাত দেখা-কোষ্ঠী দেখা-ভাগ্য গণনা, কোষ্ঠী গণনা— এগুলোই চলছে।

‘প্রাচীন হাতিবাগান টোল বগলা মন্দির দুর্গা মন্দির’-এর ১৫০ বছরেরও বেশি বয়স। এখন দায়িত্ব সামলান শুভজিৎ ভট্টাচার্য। এই টোলে এখনও প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ জন ছাত্র আছেন। সংস্কৃত ভাষা কেউ শেখেন, কেউ শেখেন জ্যোতিষ।

‘আদি প্রাচীন হাতিবাগান (Hatibagan) টোল মহাকালী মন্দির’। দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দীপঙ্কর জ্যোতিঃশাস্ত্রী। এঁরাও পুজোপাঠ-ভাগ্য গণনাই করে থাকেন।

চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউর ‘হাতিবাগান (Hatibagan) টোল মহাকালী আশ্রম’ সামলান বনবিহারী ভট্টাচার্য। দু’টি অংশে ভাগ করা। একদিকে পুজো-আচ্ছা, অন্য ঘরটায়  লোকজন  ভাগ্য-ভবিষ্যৎ জানতে চান। এঁদেরও বক্তব্য— টোল নামেই। এখন কোষ্ঠীবিচার, পুজো-আচ্ছা— এই সবই হয়। তাই টোল এখন অতীত।

Latest article