হাড়হিম হত্যাকাণ্ড! লিভ-ইন পার্টনারকে ৩৫ টুকরো করে দিল্লির রাস্তায় ছড়ায় প্রেমিক

পুলিশ এখন শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মে মাসে এই ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা ঘটলেও এতদিন তা জানা যায়নি।

Must read

প্রতিবেদন : ভয়ঙ্কর মানসিক বিকৃতি৷ নৃশংস বললেও কম বলা হয়৷ যার সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক মাস লিভ–ইন পার্টনার হিসেবে এক ছাদের তলায় বাস, সেই তরুণীর দেহই ৩৫ টুকরো করে রাস্তায় ছড়িয়ে দিল বিকৃত মানসিকতার খুনি যুবক৷ তরুণীর অপরাধ, তিনি ওই যুবককে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। হাড়হিম করা এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে। যা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে বহু যুগ আগে দিল্লির তন্দুর হত্যাকাণ্ড৷ ঘটনাটি মে মাসের৷ এতদিন পর তা সামনে এসেছে৷ পুলিশের হাতে অবশেষে ধরা পড়েছে খুনি৷

আরও পড়ুন-শিশুদিবসে নতুন আমেজে খুশি HIV+ অনাথ শিশুরা

জানা গিয়েছে, আফতাব আমিন পুনাওয়ালা নামে এক যুবক ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকার নামে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর সঙ্গে দিল্লির মেহেরৌলিতে লিভ–ইন সম্পর্কে ছিল। ১৮ মে আফতাব শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে। টুকরোগুলি লুকিয়ে রাখতে একটি ৩০০ লিটারের ফ্রিজও কেনে সে। এরপর ১৮ দিন ধরে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলিকে দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিতে থাকে। এই জঘন্য কাজ করতে প্রতিদিন নিশুতি রাতে শুনশান দিল্লির রাস্তায় বের হত আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধা মুম্বইয়ে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কলসেন্টারে কাজ করতেন। সেখানেই আফতাবের সঙ্গে পরিচয়। বন্ধুত্ব গভীর হওয়ার পর শ্রদ্ধা ও আফতাব লিভ টুগেদার করতে থাকেন। শ্রদ্ধার পরিবার অবশ্য এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই দিল্লিতে এসে তাঁরা বসবাস শুরু করেন।

আরও পড়ুন-বীরবাহাকে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিপাকে শুভেন্দু, সরব তৃণমূলের আদিবাসী নেতৃত্ব

আফতাব পুলিশকে জানিয়েছে, শ্রদ্ধা বিয়ের জন্য খুব চাপ দিচ্ছিলেন। তাই সে তাঁকে খুন করে। পুলিশ এখন শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মে মাসে এই ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা ঘটলেও এতদিন তা জানা যায়নি। বেশ কয়েক মাস মেয়ের ফোন না পেয়ে ৮ নভেম্বর দিল্লি আসেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়াকার। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মেহেরৌলি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে শনিবার আফতাবকে তার ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। শোরগোল ফেলে দেওয়া এই খুনের ​শিকড়ে পৌঁছতে তদন্ত চলছে৷

Latest article