চণ্ডীগড়, ২৮ এপ্রিল : শুরুটা করেছিলেন কাইল মেয়ার্স, শেষটা করলেন নিকোলাস পুরান। মাঝে ঝড় তোলেন মার্কাস স্টয়নিস ও আয়ুষ বাদোনি। এই চার ব্যাটারের দাপটে আইপিএলে সর্বাধিক রানের রেকর্ড থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেমে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সর্বাধিক ২৬৩ রানের রেকর্ড অল্পের জন্য সুরক্ষিত থাকল।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টকে কটাক্ষ করে পরের বিচারপতিকে পরিহাস
শুক্রবার মোহালিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৭ রান করে লখনউ। জবাবে ৫৬ রান দূরে থেমে যায় পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস। ফিট হয়ে পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এই ম্যাচ খেলেন। কিন্তু তিনি নিজে রান পাননি। দলও জেতেনি। ‘জায়ান্ট’ স্কোরের সামনে ব্যর্থ পাঞ্জাবের লড়াই। অথর্ব তাইদে (৬৬), সিকন্দর রাজা (৩৬) একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় হার পাঞ্জাবের। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে পাঞ্জাবকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ (১০ পয়েন্ট)। ব্যাটে-বলে এদিন দুরন্ত অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার স্টয়নিস বোলিং করার সময় আঙুলে চোট পান। যদিও ম্যাচের সেরা হয়ে বললেন, চোট গুরুতর নয়।
আরও পড়ুন-দুই মামলাতেই ধাক্কা গদ্দারের
টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তই কি বুমেরাং হয়ে গেল পাঞ্জাবের? মোহালির বাইশ গজে লখনউ এমন দাপিয়ে শুরু করল যে, প্রীতি জিন্টার দল ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগই পেল না। চতুর্থ ওভারে অধিনায়ক রাহুলের (১২) উইকেট হারায় লখনউ। উল্টোদিক থেকে কাইল মেয়ার্স তখন ঝড় তুলেছেন। ষষ্ঠ ওভারে মেয়ার্সকে (২৪ বলে ৫৪) কাগিসো রাবাডা ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও লখনউয়ের ব্যাটিং সাইক্লোন থামেনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঝড়ের গতিতে ৮৯ রান যোগ করেন স্টয়নিস ও বাদোনি। তরুণ ভারতীয় ব্যাটার আয়ুষ (২৪ বলে ৪৩) আউট হওয়ার পর স্টয়নিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার পুরান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে ৭৬ রান যোগ করেন। এরপর স্টয়নিস (৪০ বলে ৭২) ও পুরান (১৯ বলে ৪৫) ডাগ আউটে ফিরলেও লখনউয়ের স্কোর ততক্ষণে আড়াইশো পার করেছে।