প্রতিবেদন : এক ম্যাচ বাকি থাকতেই কলকাতা লিগে ফের চ্যাম্পিয়ন মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting Club)। ১৯৪০ এবং ১৯৪১ সালে পরপর দু’বার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ৮১ বছর পর ফের সেই কীর্তি গড়ল ময়দানের অন্যতম প্রধান।
রবিবার লিগের সুপার সিক্স রাউন্ডে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভবানীপুর পয়েন্ট নষ্ট করতেই লিগের চ্যাম্পিয়ন দল নির্ধারিত হয়ে যায়। ভবানীপুর-এরিয়ান ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। ফলে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়েই লিগ খেতাব নিশ্চিত করে মহামেডান। তবে সাদা-কালো শিবির উৎসব তুলে রাখল মিনি ডার্বির জন্য। মঙ্গলবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েই লিগ জয়ের সেলিব্রেশন করতে চায় মহামেডান (Mohammedan Sporting Club)। কিন্তু এবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। লিগে মোহনবাগান না খেলায় মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হচ্ছে। এমন হাস্যকর ঘরোয়া লিগ দেখেনি ময়দান।
আরও পড়ুন-বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
সাদা-কালো জার্সিতে ’৮১-র কলকাতা লিগ জয়ী দলের সদস্য মানস ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘মহামেডান পরপর দু’বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হল। তার জন্য আমার পুরনো ক্লাবকে অভিনন্দন। লিগটা এবার এভাবে শেষ হল বলে মহামেডানের কৃতিত্বকে আমি খাটো করতে পারি না। ওরা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে আসছে। ভাল দল গড়েছে। দুই প্রধানকেও হারানোর ক্ষমতা রাখে মহামেডান। কিন্তু আইএফএ এবার যেভাবে লিগ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করল, সেটা পাড়ার খেলাতেও হয় না। চারটে ম্যাচ খেলে লিগ শেষ! ভাবা যায়! আইএফএ-র উচিত, সামনের বছর ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো। মোহনবাগান যেন খেলে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’’
ফুটবলার হিসেবে মহামেডানের জার্সি গায়ে কখনও কলকাতা লিগ জেতেননি দীপেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু ক্লাবের ফুটবল সচিব তথা ম্যানেজার হিসেবে পরপর দু’বার লিগ জয়ের কীর্তি গড়ে দীপেন্দু বললেন, ‘‘এটা আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা সাফল্য হয়ে থাকল। পরপর দু’বার কলকাতা লিগ জয় আই লিগের আগে দলের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেবে।’’ ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।