সংবাদদাতা, নদিয়া : প্রাচীন রীতি মেনেই কৃষ্ণনগর গোলাপট্টিতে ধুমধামের সঙ্গে এবারও হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের মহিষমর্দিনী পুজো (Mahis mardini puja)। পুজো দিতে ভক্ত থেকে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। এই এলাকায় গোয়াড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে জলঙ্গি নদী। একসময় এখানকার ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের পথই ছিল এটি। এর ওপরই গোটা এলাকার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হত। একসময় ব্যবসায়ীদের নৌকায় থাকা মালপত্র জলদস্যুরা লুট করত। সেই বিপদ থেকে রেহাই পেতেই গোয়াড়ির ব্যবসায়ীরা মাতৃশক্তির আরাধনা করেন। জানা যায়, দেবী স্বপ্নাদেশ দেন মহিষমর্দিনী (Mahis mardini puja) রূপেই যেন তাঁর পুজো করা হয়। তবে এখানে দেবীর সঙ্গে তাঁর সন্তানরা থাকেন না। বদলে সঙ্গে আছেন দেবীর দুই সখী জয়া-বিজয়া। থাকে মহিষাসুরও। শুক্রবার অষ্টমী ও শনিবার নবমী পুজো হল। সকাল থেকেই পুজোকে ঘিরে গোটা এলাকায় উদ্দীপনা দেখা যায়। পুজো দেখতে আসেন কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস। পুজো কমিটির সদস্য বুবু মোদক বলেন, পুজো শুধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গোলাপট্টির অধিবাসীবৃন্দর হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মিজোরাম থেকে ফিরল আরও চার শ্রমিকের দেহ