১৩ তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পেল রঞ্জন ঘোষের ছবি ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। ছবিটিতে মুখ্য ভুমিকায় আভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এশিয়ান সিনেমা প্রতিযোগিতার বিভাগে মনোনীত হয়েছে ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ (Mahishasurmardini) ছবিটি। দেশে বিদেশে প্রচুর চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে,তবে তার মধ্যে মাত্র ৪৬ টি ফিল্ম ফেস্টিভাল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা স্বীকৃত। তারমধ্যেই রয়েছে বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল। ১৩ তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবছর অনুষ্ঠিত হবে ৩ থেকে ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন – প্রচারে আলাদা মাত্রা জুড়েছেন শতাব্দী
‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ (Mahishasurmardini) সিনেমার পরিচালক রঞ্জন ঘোষ বলেন, ভারতীয় সিনেমার বিভাগে মনোনীত হলেই বর্তে যেতাম। সেটা যে এশিয়ান ছবির বিভাগে মনোনীত হবে তা কস্মিনকালেও ভাবিনি। এই বিভাগে সিলেক্ট হওয়া মানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা। তাই আমি খুবই আপ্লুত।’ ফিল্ম ফেস্টিভাল সিলেকশন হলে কিছু সিনেমা বিশেষজ্ঞের কাছে ছবিটা পৌঁছায় যাঁরা স্বীকৃতি দিচ্ছেন যে ছবিটা ভালো। সেখানে ফিল্ম ফেস্টিভালের গুরুত্ব, এটা থেকে আমরা উৎসাহ পাই। মনোনয়নই উৎসাহের কারণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি দর্শকের কাছে বার্তা যায় যে এই সিনেমাটি ভালো ও উৎকর্ষ মানের, আপনারা দেখতে পারেন। অনেক সময়ই ট্রেলার দেখে দর্শকেরা বুঝতে পারেন না এটা ভালো না খারাপ হবে, তাঁদের জন্য ফেস্টিভালে সিলেকশনটা গুরুত্বপূর্ণ। পুজোর আগেই রিলিজ করার ইচ্ছা আছে। পুরোটাই আমার প্রযোজকের হাতে, তাঁরা চান পুজোর আগে রিলিজ করতে।
‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ সম্পর্কে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন,’মহিষাসুরমর্দিনী নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তৈরি একটি ছবি। এটা এক রাতের গল্প। ছবিতে প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে সমাজের প্রতিফলন রয়েছে। মেয়েদের উপর চারিদিকে যে অত্যাচার চলছে, আমরা তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। প্রতিটি চরিত্রকে দিয়ে নারীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলানো হবে।’