প্রতিবেদন : আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অপারেশন করা যাবে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকাই জারি করা হয়েছে। হাড়ের যে কোনও অপারেশন করাতে সরকারি হাসপাতালেই যেতে হবে রোগীদের। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম যদি এই নিয়ম না মানে তাহলে সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থার পথে হাঁটবে রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, বাংলায় এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকারি হাসপাতালগুলোর ভূমিকা সদর্থক।
আরও পড়ুন-পেনশনভােগীদের স্বার্থে বিদ্যুৎ নিগমের নয়া উদ্যোগ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন। তাই জটিল একাধিক অপারেশন এখন সরকারি হাসপাতালেই হচ্ছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবা পান রাজ্যবাসী। তবে কার্ড আছে মানেই যে কোনও ধরনের সমস্যায় নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার যে প্রবণতা, তাতেই রাশ টানতে চাইছে রাজ্য। যদি কারওর অর্থোপেডিক কোনও সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অপারেশন করাতে হবে।
আরও পড়ুন-রেশনে কারচুপি রুখতে আসছে ই-ওয়েট যন্ত্র
হাসপাতাল যদি সেই পরিষেবা দিতে অক্ষম হয় তাহলে নির্দিষ্ট ফর্মে অর্থোপেডিক সার্জনকে তা লিখে দিতে হবে এবং সেই রেফারেল নিয়ে তবেই বেসরকারি নার্সিংহোমে হাড়ের চিকিৎসা করাতে ভর্তি হওয়া যাবে। এর আগে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এবার তা গোটা রাজ্যেই লাগু হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা স্বাক্ষরিত এই নির্দেশ জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পথ দুর্ঘটনায় আহতদের হাড়ের এমার্জেন্সি অপারেশনকে এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।