প্রতিবেদন: মালদ্বীপে (Maldives Issue) পালাবদলের পর নতুন সরকারের মাথায় চিন ঘনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজজুর বসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু। অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর তা চরমে উঠেছে। কূটনৈতিক তিক্ততা বাড়ছে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভারত বিরোধী অবস্থানের জন্য বহু ভারতীয় মালদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করে দিচ্ছেন বলে খবর। আবার পাশাপাশি ভারত বিরোধী মন্তব্য এবং মোদিকে অপমানের জন্য নিজেদের তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছে মালদ্বীপ (Maldives Issue) সরকার৷ যদিও তার পরেও দুদেশের সম্পর্ক দ্রুত স্বাভাবিক হবে এমন আশা করছে না কোনও মহল। ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে৷ লাক্ষাদ্বীপ সফরের সময় সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক বিনোদনের ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন মোদি৷ এর পরেই হঠাৎ করে মালদ্বীপ সরকারের ভিতর থেকে মোদি বিরোধী মন্তব্য উঠে আসতে থাকে। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এর পিছনে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি একটা কারণ। লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানা ভারতীয় ও বিদেশিরা যদি মালদ্বীপের বদলে এই জায়গাকে বেছে নেন, তাহলে সমস্যায় পড়তে পারে ওদেশের সরকার। তাই তাদের এই ভারত বিরোধী প্রতিক্রিয়া। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজজুর নেতৃত্বে যে সরকার মালদ্বীপে ক্ষমতায় রয়েছে, তারা চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত৷ গত বছর নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের নতুন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নয়াদিল্লির সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ ভারতপন্থী বলে পরিচিত ছিলেন৷ নতুন সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্য স্থাপনই এখন কেন্দ্রের বড় মাথাব্যথা।