হেলিপ্যাড থেকে নেমে হাসিমারার গুরুদুয়ারে প্রার্থনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক, খেলেন প্রসাদ

সকালে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা থেকে আকাশ পথে মেঘালয় পৌঁছে সেখানে একটি জনসভা সেরে ফের বিকেলে হাসিমারা ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

বুধবার, মেঘালয়ের জনসভা সেরে বিকেলে হাসিমারা (Hasimara) ফিরে হেলিপ্যাড থেকে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যান হাসিমারা গুরুদুয়ারাতে। সেখানে প্রার্থনা করেন দুজনে। তারপর নিজেই সেখানকার প্রসাদ হালুয়া নেন মমতা। তারপর মালঙ্গী লজে যান। সেখানেই রাতে থাকবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-সার্ভে পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একেন বাবুর স্রষ্টার মৃতদেহ

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সব ধর্মই সমান শ্রদ্ধার। দুর্গাপুজো থেকে ঈদের নমাজ, বড়দিনে মধ্যরাতে গির্জায় প্রার্থনা বা গুরুদ্বারে প্রসাদ খাওয়া- সব জায়গাতেই যান তিনি। একইভাবে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বাংলার বাইরে এর ব্যাতিক্রম হয় না সেটা প্রমাণ হয়ে গেল আরেকবার।

আরও পড়ুন-‘পরের বার যখন আপনাদের এলাকায় আসব, আপনাদের ভাষা শিখতে চাই’ ভাষার প্রতি টান প্রকাশ করলেন মমতা

বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরদুয়ারের চা বলয় নামে বিখ্যাত কালচিনি ব্লকের সুভাষিনী চা বাগানের মাঠে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি- এই তিনজেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার উপভোক্তাকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেবেন তিনি। এ ছাড়াও এই তিন জেলায় বেশ কিছু প্রকল্পের শিল্যানাশ ও উদ্ভোধন করবেন। তারমধ্যে আলিপুরদুয়ারে প্রস্তাবিত আদালত ভবনের শিল্যানাশ, জয়গায় স্টেডিয়ামের উদ্ভোধন অন্যতম। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রায় পনেরো হাজার মানুষকে কম্বল বিতরণ করা হবে। এছাড়াও তোর্সা, মুজনাই ও ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ১১২৭ টি শ্রমিক পরিবারের হাতে, তার স্বপ্নের প্রকল্প চা সুন্দরী আবাস যোজনার চাবি তুলে দেবার কথাও আছে মুখ্যমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন-মেঘালয়ের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বদলাতে তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প, মেঘ-রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এদিন, সকালে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা থেকে আকাশ পথে মেঘালয় পৌঁছে সেখানে একটি জনসভা সেরে ফের বিকেলে হাসিমারা ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে সোজা চলে যান হাসিমারা গুরুদুয়ারাতে। সেখানে অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা সারেন তিনি। তারপর নিজেই সেখানকার প্রসাদ হালুয়া চেয়ে গ্রহণ করেন। কথা বলেন গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদের এত আন্তরিক ব্যবহারে আপ্লুত গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ।

Latest article