প্রতিবেদন : বিরোধী জোটে শান দিতে এবার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী মঙ্গলবার হবে এই বৈঠক। লক্ষ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশে বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা আরও বাড়াচ্ছে। অবশ্যই এই বিরোধী জোটের মধ্যমণি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে জোটের নানা সমীকরণ। গত কয়েক মাসে দেশের সব প্রান্তের বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রায় সকল শীর্ষ নেতৃত্ব কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্তে বৈঠক করে গিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর ‘যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়ুক’ ফরমুলা যে কতটা কার্যকরী কর্নাটক নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় তার হাতে গরম উদাহরণ। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো হাতে গোনা দু’একটি রাজ্য ছাড়া বিজেপি দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে ধরাশায়ী। ফলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বেজায় অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক দূরদর্শী তৃণমূল সুপ্রিমো তাই অনেক আগে থেকেই বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে শুরু করেছিলেন। এখন বাকি বিরোধী নেতারাও এগিয়ে এসেছেন।
রবিবাসরীয় সকালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার উপস্থিত হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। সকাল সাড়ে ১১টায় দিল্লির ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁদের বৈঠক হয়। সুপ্রিম নির্দেশ পক্ষে থাকার পরেও কেন্দ্রের সঙ্গে অর্ডিন্যান্স নিয়ে টানাপোড়েন চলছে দিল্লির আপ সরকারের। এদিন সকালে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নীতীশ। তাঁর মতে, বিরোধীরা একজোট হলে সংবিধান না মানা বিজেপি সরকারকে হঠানো যাবে। আর কেজরিওয়ালের মতে, রাজ্যসভায় দিল্লির অর্ডিন্যান্স সংক্রান্ত বিলটি পাশ না হলে, সেটি ২০২৪-এর আগে সেমিফাইনাল।
এদিন, বৈঠক থেকে বেরিয়ে কেজরিওয়ালকে পাশে নিয়ে নীতীশ কুমার বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, একটা নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা কীভাবে কেড়ে নেওয়া যেতে পারে? এটা সংবিধানের বিরোধী। তাঁরা সকলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছেন বলে বার্তা দেন নীতীশ। কেজরিওয়ালের কথায়, যদি বিজেপি অর্ডিন্যান্সকে রাজ্যসভায় বিল হিসেবে পাশ করাতে চায়, তবে সব বিরোধী দলকে তার বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে। বিরোধী ভোটে এই বিলটি আটকে গেলে সেটি ২০২৪-এর আগে সেমিফাইনাল হবে। আপ নেতার কথায়, ২০২৪-এ যে বিজেপি ফিরতে পারবে না, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত দেবে।
আরও পড়ুন: আজ ফের শুরু নবজোয়ার যাত্রা