প্রতিবেদন : শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছিলেন বাংলায় তৃণমূলের জন্য উন্নয়ন থেমে গিয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তার জবাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Supremo)। এদিন আসানসোলের জোড়া সভা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়নের তুলনা টেনে তাঁর হুঙ্কার, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। উন্নয়নে বাংলা অনেক এগিয়ে। কেন মিথ্যাচার করছেন। আর ঝুটাবাবু সাজবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় তৃণমূলের জন্য উন্নয়ন হয়নি বলছেন, আপনাকে চারটি প্রশ্ন করব। এক, সারা দেশের তুলনায় রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে। ভারতের জিডিপি ৮.৮৭ শতাংশ। বাংলায় ১১.৮৪ শতাংশ। এটাই প্রমাণ করছে, কোথায় উন্নয়ন। তাই আপনি আগে পদত্যাগ করুন। তারপর এসব বলুন। বাংলা কৃষিতেও এগিয়ে, শিল্প ও কর্মসংস্থান সবক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে। এরপর তিনি বলেন, দুই দফার নির্বাচনের পরেই ঘাবড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটা বোঝা যাচ্ছে তাঁর কথাতেই। বিজেপি কিছুতেই জিততে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোট মিটে গেলেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে। বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি। একশো দিনের বকেয়া দেয়নি গরিব মানুষের। আবাসের টাকা দেয়নি। রেশন নিয়েও মিথ্যাচার করছে ঝুটাবাবু। বলে কি না, কেন্দ্র রেশন দেয়, রেশনে গত দু-বছর বকেয়া ১২ হাজার কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রের টাকা মিলিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। তাতেই বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছেন। আমরা যা বলি, তাই করি। আমরা যা দেব বলি, তাই দিই। বিজেপি তা করে না। আমরাই বাংলা জুড়ে উন্নয়ন করছি। প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যাচার করেন, এত মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী আমি আগে দেখিনি। শুধু বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা।
আরও পড়ুন- তফসিলিদের উপর অত্যাচারে দেশে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Supremo) বলেন, আমরা ৪২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আরও ১১ লক্ষ বাড়ি আমরাই তৈরি করে দেব। ডিসেম্বর মাসে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেব। পরে তিন-চার মাসের মধ্যে আরও ৬০ হাজার দেব। আর বিজেপি কী করেছে? চুপচাপ ওষুধের দাম বাড়িয়েছে বিজেপি সরকার। প্রেশার, শুগারের ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। সব জিনিসের দাম বাড়িয়েছেন, এর ফলে মোদির দাম কমেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, শুনছি, এখানকার কয়লাখনি বিক্রির চক্রান্ত চলছে। আসানসোল এবং পাশেই দেউচা-পাঁচামিতে শিল্প হচ্ছে। বাংলার এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।