লক্ষ্য ২০২৪। এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল ভাষণের দিকে শুধু বাংলা নয়, তাকিয়ে ছিল সারা দেশ। শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অ-বিজেপি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন।
২১ জুলাই দুপুরে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল ভাষণ শোনার জন্য উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব ও জয়া বচ্চন, কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং, টিআরএস নেতা, কেশব রাও, আরজেডি নেতা মনোজ রায়, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, সুপ্রিয়া সুলের মতো নেতৃত্বরা। সবাইকে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
জাতীয়স্তরের অ-বিজেপি নেতা-নেত্রীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। সব গণতন্ত্রকামী নেতৃত্বকে একজোট হয়ে দিল্লি থেকে বিজেপি সরকারকে হঠাতে হবে। খবর আগেই ছিল জুলাইয়ের শেষে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা জানান, “চিদম্বরম জি, শরদ পাওয়ারজিরা যদি ২৬-২৭-২৮ এই তিনদিনের মধ্যে কোনও বৈঠক ডাকেন, তাহলে তাতে অংশগ্রহণ করব”। মমতা আরও বলেন, “একটা খেলা হয়েছে। বিজেপি না হটানো পর্যন্ত রাজ্যে-রাজ্যে খেলা হবে।”
এরআগেই প্রশান্ত কিশোর দফায় দফায় বৈঠক করেন শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এরপর এনসিপি সুপ্রিমোর বাড়িতেই যশবন্ত সিনহার ডাকে অ-বিজেপি নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু তাও বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ হিসেবে বারবারই উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এবার তৃণমূলনেত্রী নিজেই তৃতীয় ফ্রন্টের জল্পনা উস্কে দিয়ে জোট বাধার বার্তা দিলেন।