তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বার জয়ের বর্ষপূর্তিতে  ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কী বললেন অভিষেক?

Must read

২০২১ সালে এদিনেই তৃতীয়বারের জন্য বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কথা স্মরণ করে এই দিনটিকে ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, সকালে পরপর তিনটি টুইট করেন তিনি। বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে আস্থা রাখার জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

পরপর টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Supremo Mamata Banerjee) লেখেন,
“গতবছর এই দিনে দেশের কর্তাব্যক্তিদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে বাংলার মা- মাটি- মানুষ তাঁদের অদম্য সাহসের পরিচয় রেখেছিলেন। সেজন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।( ১/৩)”
“মা- মাটি-মানুষ সেদিন সারা পৃথিবীকে দেখিয়েছিলেন যে, গণতন্ত্রে মানুষের শক্তির চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই। প্রকৃত জাতি-নির্মাণে আমাদের প্রয়াস জারি রাখতে হবে, কারণ অনেক যুদ্ধ লড়তে ও জিততে হবে।( ২/৩)”
“আজকের দিনটি আমি মা-মাটি-মানুষের কাছে উৎসর্গ করলাম এবং সকলের কাছে আমার আহ্বান, আজ থেকে এই দিনটি ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ বলে অভিহিত হোক। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।( ৩/৩)”

এইদিনটি শুধু মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করাই নয়, এবার থেকে এই দিনটি ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ বলে পালিত হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা।

আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন,
“২রা মে ২০২১ সর্বদা আমাদের হৃদয়ে থাকবে।
তৃতীয়বারের মতো #MaaMatiManush সরকারের প্রতি তাদের আস্থা রাখার জন্য এই দিনে বাংলার সব মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।
আমরা সর্বদা সর্বোত্তম পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ!”

 

তৃতীয়বার তৃণমূলের জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি। ২০২১-এ এই দিনই ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে বিজেপির দাপাদাপি, দিল্লির নেতাদের ডেলি প্যাসেঞ্জারি- কোনওটাই তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারেনি। উল্টে নবান্নে আরও উজ্জ্বল হয়েছে নীল-সাদা।

‘অব কি বার/ ২০০ পার’, পাল্টা তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’। আর রাজ্যের মানুষ ঘরের মেয়ের উপরেই ভরসা করেছিলেন। ২৯৩ আসনের মধ্যে ২১৩ আসনেই ঘাসফুলের জয়জয়কার। উপনির্বাচনের পরে এখন সংখ্যা ২২১। পদ্ম শিবিরের দুশো পারের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ৭৭-এ। ৩৪ বছর বাংলায় ক্ষমতায় থাকা বামেদের ঝুলি ছিল শূন্য। একই হাল শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসেরও।

কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পই মমতার সাফল্যের চাবিকাঠি বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এ সবই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা বলেছেন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ।

একুশের নির্বাচনের আগে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো যে যে প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা কুর্সিতে বসার কয়েকমাসের মধ্যেই পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ মে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন অফিস থেকে ‘দিদিকে বলো-২’র উদ্বোধন করবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।

 

Latest article