উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে রাজ্য সরকার আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তৃতীয় দিন শিলিগুড়ির বিজয়া সম্মিলনীতে এদিন উপস্থিত হয়ে বাংলা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলে দিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কোনও প্ররোচনা ভাগাভাগিতে পা দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন। সবাইকে বলব, ভাল করে কাজ করুন। কোনও ভাগাভাগি নয়। বঙ্গভঙ্গ নয়, আমরা চাই সঙ্গ।’
আরও পড়ুন-‘জোর করে জমি কেড়ে নিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার’ দাবি মমতার
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। জনসংযোগ বাড়তেই বিভিন্ন জেলায় পালন করা হচ্ছে বিজয়া সম্মিলনী। সামনের বছর মার্চে পঞ্চায়েত ভোটের আগে শারদোৎসব একপ্রকার জনসংযোগ কর্মসূচি হিসাবেই পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ‘কালীপুজো গুরুত্বপূর্ণ, ছট পুজো গুরুত্বপূর্ণ। কালীপুজোতে ছুটি, ছটপুজোতেও ছুটি। চা বাগানে সবাইকে অভিননদন। মালবাজারে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বাড়িতে গেছিলাম, সবার সঙ্গে দেখা করেছি। সবাইকে চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছি। এদিন বিজয়া দশমী ছিল, সবাই বিসর্জনে ব্যস্ত ছিল। সবাই একসঙ্গে কাজ করে সাহায্য করেছে। আগামী কালীপুজো, ছটপুজো সব জায়গায় যাতে একসঙ্গে কাজ হয়।’
আরও পড়ুন-জলসার মাইক্রোফোনে সাউন্ড লিমিটার লাগানো বাধ্যতামূলক
মমতা আরও বলেন, ‘আমরা ওয়স্ট বেঙ্গলের বাসিন্দা। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ বলা হয়। আমি সবচেয়ে বেশি উত্তরবঙ্গে আসি। উত্তরবঙ্গে নয়া জেলা হয়েছে নতুন, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়েছি। আমরাস চাইছি, উত্তরবঙ্গকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে। আরও দার্জিলিং বাড়াও। আপনারা চাইলে একটা বাণিজ্য সম্মেলনও করতে পারি উত্তরবঙ্গে।’
আরও পড়ুন-গঙ্গার ভাঙনে দোতলা বাড়ি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে। বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। আমরা এখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এখানে অনেক কিছু বানিয়েছি। ট্যুরিসম ডেস্টিনেশনের জন্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসে যাব এই সন্মান আনতে। দুর্গাপুজোর জন্য আমরা সন্মান পেয়েছি। কিন্তু এই সন্মানটা অনেক বড়।’ প্রসঙ্গত গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার মুখে উত্তরবঙ্গ ভাগের কথা সাম্প্রতীক সময়ে শোনা গিয়েছে।কোনও বঙ্গভঙ্গ, কোনও ভাগাভাগি নয়। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়েই বাংলা। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’