শুক্রবার থেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandal express) দুর্ঘটনার মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। আজ রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই তিনি এই বিষয়ে জানান, ‘আমরা ওড়িশা সরকারের সঙ্গে কথা বলে কাজটা করেছি। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই মনিটরিং করছি। মেদিনীপুর থেকে মেডিক্যাল টিম, অন্যান্য আধিকারিক, ১৫০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০ জন চিকিৎসক পাঠিয়ে রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত বাংলার ৬২ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।’ যদিও তারপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরও অনেক আছে।’
আরও পড়ুন-ফের পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী, নজরে চা শিল্পে বিনিয়োগ
করমণ্ডল দুর্ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী আগেই শতাব্দীর সবথেকে বড় রেল দুর্ঘটনা আখ্যা দিয়েছেন। এদিন তিনি হতাহতের পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। তবে আরও অনেক আছে। আহত ২০৬ জনকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে এনে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এছাড়া ওড়িশায় হাসপাতালে ৭৩ জন ভর্তি রয়েছেন। ৫৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া হয়েছে। আর পরিচয় মেলেনি এরকম ১৮২ জন রয়েছেন। তাঁদের ছবি প্রতিটি জেলায় শেয়ার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাওড়া, খড়্গপুর, সাঁতরাগাছিতে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং সেল আছে। কয়েকজন আইএএস অফিসার বর্ডারে কাজ করছেন। আমাদের এখানকার লোক দেখলেই বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। কাল ৭০০ জন এনে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন-‘জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সঙ্গে করমণ্ডলের কোনও তুলনা চলে না’ কুণাল ঘোষের নিশানায় বিরোধী দলনেতা
নিজের রেলমন্ত্রী থাকার সময়ের কথা তুলে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মৃতের পরিবারদের ১ জন করে চাকরি দিতাম। নতুন সিগন্যালিং করি, প্রায় ৪০০ আনম্যানড লেবেল ক্রসিং ম্যানড করি। অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম ছিল না। চালু করি। এরা রেলের জন্য কিছু করেনি। উল্টে রেলকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। আমি দুরন্ত করেছিলাম। সেই দুরন্তর আজ কি হাল হয়েছে। বন্দে ভারত- নামটা ভাল। কিন্তু, সেদিন একটা গাছ পড়ে আটকে গেল। যাত্রীরা আটকে থাকল। পচা খাবার খেল। ইঞ্জিন কোথা থেকে করেছে। এই ইঞ্জিন কি বন্দে ভারতের জন্য ফিট!’
আরও পড়ুন-শুভমনকে আরও দেখতে চান কার্স্টেন
এদিন তিনি বলেন, ‘আমার সময়ে ম্যানড লেভেল ক্রসিং ছিল না। সব ছিল আনম্যানড। আমার সময়ে সিগন্য়াল চেঞ্জ করি, টেলিকম সিস্টেম চেঞ্জ করি। সব আনম্য়ানড লেভেল ক্রসিং ম্যানড করি। প্রায় ৪০০। আমি নিজে মাডগাঁও গিয়েছিলাম। অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস দেখেছিলাম। যখন দেখলাম এটি সফল তখন তা বসানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। তার পর থেকে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এটা কারও কৃতিত্ব নয়। এই সরকারের তো নয়ই।’