মহালয়ায় পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হয়েছে। এবার মহালয়া থেকেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাকতলা উদয়ন সংঘের সঙ্গে যুক্ত শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও আজ উপস্থিত থাকেন। মায়ের পায়ে পুষ্প নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-চারের দৌড়ে আজ রাসেলই বাজি
তিনি বলেন , প্রতিমা তাঁর দারুণ পছন্দ হয়েছে এবং কোভিডের কারণে খোলামেলা মন্ডপ করা হয়েছে। এবং তিনি অনুরোধ জানান যারাই মণ্ডপে ঢুকবেন একটা মাস্ক করে প্রবেশ করবেন। তিনি বলেন, জীবনে দুঃখ থাকবে আনন্দ থাকবে। অনেক ব্যাথার মধ্যে দিয়েও সকলে ভালো করে পুজো উদযাপন করুন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেলিমপুরে দুর্গাপুজোর শুভ উদ্বোধন করেন।
বাবুবাগানের পুজোর উদ্বোধন করেন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে । বাবুবাগানের মণ্ডপ করা হয়েছে ঠিক লাইব্রেরির মত। প্রচুর বই সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে মন্ডপ। মমতা বলেন, বিদ্যা আমাদের বড় পুঁজি। প্রচুর বই রাখা হয়েছে মণ্ডপে।খুব সুন্দর থিম। প্রচুর দর্শনার্থীরা আসবেন পুজো দেখতে কিন্তু অবশ্যই মুখে মাস্ক পরে আসতে হবে বলে ফের অনুরোধ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথম দুইয়ে শেষ করতে চায় চেন্নাই
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লীর দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। বলেন, খুব ভালো প্রতিমা তৈরি হয়েছে। মন্ডপ খোলামেলা তৈরি করায় ক্লাব কমিটিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মমতা আরও বলেন, ক্লাবগুলিকে খেয়াল রাখতে হবে কেউ যেন উত্তেজনা না ছড়ায়। কারণ বাংলার পুজো সারা পৃথিবীর পর্ব। এত কৃষ্টি বাংলা ছাড়া কোথাও নেই। পুজোকে ঘিরে প্রচুর টাকার ব্যবসা হয় বাংলায়। এরপর তিনি যোধপুর পার্কের দুর্গাপুজোর শুভ উদ্বোধন করেন। ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন করার পর মায়ের পায়ে পুষ্প নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও আজ তিনি চেতলা অগ্রনী দুর্গাপুজোরও উদ্বোধন করেন। মায়ের পায়ের পুষ্প নিবেদন করেন। ফিরহাদ হাকিমের পুজোর প্রতিমার চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহন মন্ত্রীর অনুরোধে মণ্ডপে দাঁড়িয়ে তিনি চন্ডীপাঠের বেশ কিছুটা অংশ পাঠ করেন। চেতলা অগ্রনীর সুন্দর সাজানো চারদিক খোলা মণ্ডপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।