প্রতিবেদন : দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা’ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুব্রতদাকে আজ খুব মিস করছি”।
বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন বিভাগে শারদ সম্মান প্রদান করা হয়। মোট ৪৫০-এর বেশি ক্লাবের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সেরার সেরা পুরস্কার বাগবাজার সর্বজনীন ও সমাজসেবীকে দেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই বলেন, “আমার আজকে সবচেয়ে খারাপ লাগছে, আমি আজ খুব সুব্রতদাকে মিস করছি। হয়তো আজ এখানে অনেকেই উপস্থিত আছেন, কিন্তু যে মানুষটা সবসময় উপস্থিত থাকতেন” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় মৃত্যুসংবাদ শুনে তাঁর মনে হচ্ছে, এভারগ্রিন এবার কার হাতে যাবে? “চিরকাল এভারগ্রিন মানুষটা”
আরও পড়ুন : সাম্প্রদায়িক বিজেপি, টিপু সুলতানকে খুনির তকমা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
নষ্টালজিক হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, প্রতিবার পুজোর সময় ১৫ দিন আগে থেকে তাঁর সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রায় ঝগড়া বেধে যেত। কারণ তার পুজো উৎপাদনে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, “পুজোর পনেরদিন আগে থেকে আমার সঙ্গে ঝগড়া করত প্রায়। কিরে কবে দিবি ডেট? তোকে কিন্তু স্তোত্রটা একবার বলতে হবে। আমি মাঝে মাঝে বলতাম, সুব্রতদা আপনি তো থিম করেন না। সুব্রতদা বলতেন, আমি থিম করি না রে, আমি সাবেকি পুজো করি।”
সুব্রত মুখোপাধ্যায় আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “সুব্রতদার এখনও যাওয়ার সময় হয়নি। ভালো থাকতে থাকতে হঠাৎ করে চলে গেলেন। এই শোকটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।” দীর্ঘদিন রাজনীতির ময়দানে তাঁরা সহযোদ্ধা। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে মমতা বলেছিলেন, “আমি সুব্রত দার ওই চেহারা দেখতে পারব না”। নিজের বাড়ির ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানও বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যে এখনও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি এদিনের মন্তব্যই আবার তা প্রমাণ করল।