প্রতিবেদন : তাঁকে ঘিরে বচ্চন পরিবার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী গান ধরলেন ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’… জয়া বচ্চনের বিখ্যাত বাংলা ছবি ‘ধন্যি মেয়ে’র গান। নস্টালজিক গোটা পরিবার। ৫০ বছর আগের ছবি। জনপ্রিয়তম ছবি। জয়া বচ্চনও স্মৃতিমেদুর। জলসার সদর দরজায় জয়া বচ্চন জড়িয়ে ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সঙ্গে গোটা পরিবার। প্রথমে অমিতাভ বচ্চনকে, তারপর পরিবারের সকলের হাতে রাখি বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরীয় পরিয়ে দেন। জয়াকে উপহার দেন বিশ্ববাংলার শাড়ি। অমিতাভকেও। বিগ-বি মিষ্টি উপহার দেন।
আরও পড়ুন-আকসাই চিনে প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ছে বেজিং, বিস্ফোরক উপগ্রহ চিত্র
অন্দরমহল থেকে এরপর ঐশ্বর্য রাই চা বানিয়ে আনেন। প্রশংসা করেন চায়ের। দ্বিতীয়বার চা চেয়ে নেন। অমিতাভকন্যা শ্বেতা পরিবেশন করেন ভেলপুরি আর শেভপুরি। যদিও নেত্রী চা ছাড়া অন্য কিছু খাননি। কথায় কথায় জমে ওঠে গল্প। আসে কেবিসির কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেবিসি করুন কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সিনেমায় আর অভিনয় করবেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই বারেবারেই ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলার কথা। কখনও তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর কিংবা কালীঘাটের মন্দির। ঐশ্বর্য এবং শ্বেতা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কী করে বারবার আঘাত পেয়েছেন। আর কীভাবেই বা তা সামলে উঠেছেন?
আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য একাধিক, এনডিএতে একজনই, মোক্ষম খোঁচা উদ্ধব ঠাকরের
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আক্রান্ত হওয়া, আহত হওয়ার ঘটনার কথা বলেন। মোবাইলে রাখা সেসব দিনের ছবিও দেখান। সকলেই ঘটনার বিবরণ শুনে কার্যত স্তম্ভিত এবং বিস্মিত। নানা কথায় সময় গড়ায় প্রায় একঘণ্টা। শেষে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যকে আমন্ত্রণ জানান। আর অমিতাভকে পুজোয়।