ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো (Durga Puja)। এই খবরে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, বাঘাযতীনে কলকাতার পুরভোটের প্রচার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “গতকাল যা পেয়েছি সেটাতে মন ভরে গিয়েছে। বাংলা বিশ্বসেরা। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজের (Unesco) তকমা পেয়েছে।“ তিনি বলেন, “বাংলাকে বিশ্বসেরা করব।“
২০১১-তে প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব পালনে সবরকম সাহায্য করেন। এরপর দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাকালে এই অনুদান বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
২০১৬ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয় বিসর্জনের কার্নিভাল (Carnival)। এই কার্নিভাল দেখার জন্য বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কলকাতায় জড়ো হন। একই সঙ্গে উপস্থিত হন বিদেশি পর্যটকরা। বাংলার দুর্গাপুজোর (Durga Puja) খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের সব প্রান্তে। এবার স্বীকৃতি ইউনেস্কোর। এদিন সভায় সেই কথার উল্লেখ করেন মমতা।
এদিন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা থেকে এলাকার এবং গোটা কলকাতার উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দেন, উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে। বাংলায় যত উদ্বাস্তু কলোনি আছে, সবগুলিকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তিনি। সেখান থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এমনকী, কেন্দ্রীয় সরকার যদি কোনও জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে, তাহলে রাজ্য প্রশাসনের তখনই সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, তবে সতর্ক থাকুন, আশ্বাসবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মাঝেরহাট-টালিগঞ্জ, বাইপাস-নিউটাউন, যাদবপুর-গড়িয়া নতুন উড়ালপুল হবে। রেলমন্ত্রী থাকার সময় ২ লক্ষ কোটি টাকা মেট্রোর প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন তিনি।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, তিনি থাকলে একবছরেই মেট্রোর কাজ শেষ হয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতায় যখন নীল-সাদা রং হয়েছিল, তখন অনেকে আমায় কথা শুনিয়েছে। এখন দিল্লি-মুম্বই-চেন্নাই নীল-সাদা রং হয়েছে”। অর্থাৎ আজ বাংলা যা ভাবে আগামিকাল সেটাই ভারত ভাবে।
কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি প্রকল্প সারাদেশের মধ্যে একনম্বর বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, কলকাতায় এককোটি গাছ লাগানো হবে। প্রত্যক ক্লাব পুজোর সময় একটা করে গাছ লাগাবে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “এবার একের পর দুর্যোগে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আমরা কৃষকদের টাকা দিই, বিজেপি কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারে। সিঙ্গুরে কৃষকদের জন্য অনশন করেছি”
বাংলায় বিনামূল্য রেশন-স্বাস্থ্য- শিক্ষা সব রয়েছে- জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় জলকর নেওয়া হবে না। ২০২৪-এ বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতা পুরসভা যা কাজ করেছে সারাদেশের কোনও পুরসভায় হয়নি।