আপনারা সবাই নাগরিক। আমরা সবাই নাগরিক। নির্বাচন এলেই বিজেপির এটা কেলেঙ্কারি। জলপাইগুড়ির মালের প্রচার সভা থেকে CAA-NRC নিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলেন, মাথাটা হচ্ছে ক্যা (CAA) লেজটা হচ্ছে এনআরসি (NRC)। তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলায় তিনি এনআরসি করতে দেবেন না।
মালের সভা থেকে বাংলার মানুষকে সতর্ক করে মমতা বলেন, “এখন কী বলছে? পুরোহিত লিখে দিলেই হবে। কোন আইনে আছে? মিথ্যে কথা বলার আর মানুষকে বঞ্চিত করার একটা লিমিট থাকা উচিত। পুরোহিতরা পুজো করেন। পুরোহিতরা বাংলাদেশের। তাদের বাবা – মা বাংলাদেশের। তাদের জন্ম সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। আর যখনই আপনি নাম লেখাবেন, সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হয়ে গেলেন। অর্থাৎ, আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না, আপনি কন্যাশ্রী পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। আপনার নাগরিক অধিকার থাকবে না। আপনার সরকারি অধিকার থাকবে না। এটা ভালো না খারাপ, নিজেরা বুঝে নিন। আর যেই ডিটেনশন করবে, অসমে এখনও আছে, ডিটেনশন ক্যাম্প করে রেখে দেবে। “
আরও পড়ুন- একজনের হাতে রক্ত অন্যজন দেশের লজ্জা: একতিরে ২ বিজেপি প্রার্থীকে বিঁধলেন মমতা
তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, “আমি বিজেপির মতো ভয় দেখাই না। আমি কন্ট্রোল করি না।“ তাঁর কথায়, “আমরা সবাই নাগরিক মনে রাখবেন। আমরা এনআরসি করতে দেব না। ক্যা করতে দেব না। ডিটেনশন ক্যাম্পও করব না।“ মমতার কথায়, বিজেপি বলছে পুরোহিত লিখে দিলেও সেটা পরিচয় পত্র হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কেন কমিটিতে পুরোহিতদের রাখা হল না? এরপরেই মমতা জানান, জনগণনা বিভাগের আধিকারিকদের রাখা হয়েছে CAA কমিটিতে। একটা কমিটি তৈরি হয়েছে। “ক্যা আর এআরসি যদি আলাদা হয় তাহলে সেনসাসের লোক ঢুকিয়েছেন কেন?“ কারণ, CAA-র পথ ধরেই এনআরসি করতে চায় মোদি সরকার।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “বাংলায় ক্যা করতে দেওয়া হবে না। ক্যা হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এনআরসি। সেই কারণেই এখানে সেন্সাসের লোকদের দেওয়া রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই একজন এনআরসি আতঙ্কে মারা গিয়েছেন।“ মমতা বলেন, “আমি দিল্লি থেকে এসে রাজনীতি করি না। কারও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।“