মণীশ কীর্তনীয়া: আলিপুরদুয়ার দেখল মমতার (CM Mamata Banerjee) স্পর্শ কাকে বলে। সাড়ে এগারো বছরের মুসকান (Muskan) পারভীন আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থেকে তার মায়ের সঙ্গে এসেছিল দিদির সভায়। দিদি আসবেন তাই অপেক্ষা বিজিবি সভায় থিক থিক করছে লোক। গলা শুকিয়ে কাঠ। যেটুকু জল ছিল শেষ। ওইটুকু মেয়ে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে গরমে। হইচই শুরু হলো তাকে কেন্দ্র করে ভিড়ের মধ্য থেকে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন। আগুন ঝরা গলায় সদ্য বলেছেন রক্ত দেবো, বাংলা ভাগ করতে দেবো না। হইচই শুনে বক্তব্য থামালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে দেখে তাকে পাশের মঞ্চে আনার নির্দেশ দিলেন। বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে বললেন আগে ওর চিকিৎসার দরকার। নিজে ছুটে গিয়ে পাশের মঞ্চে জলের বোতল দিলেন। কোনমতে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এরপর নিজেই ছুটে গেলেন সেখানে। সাড়ে এগারো বছরের মুসকান তখন ঘেমে-নেয়ে একশা , মুসকান তখন বেহুুঁশ। সবাইকে অবাক করে দিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই নেমে পড়লেন শুশ্রূষায়।
আরও পড়ুন: বিজেপির বাংলা ভাগের চক্রান্ত রক্ত দিয়ে রুখব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জল খাওয়ালেন সযত্নে। মাথায় জল দিলেন। পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিলেন চোখে মুখে গালে মাথায়। মেশিন দিয়ে পালস মাপলেন। মাথায় জল দেওয়ায় শরীরে জল পড়ে জামাকাপড় ভিজে গিয়েছিল নেত্রী (CM Mamata Banerjee) চাদর জোগাড় করে ছোট্ট পারভীনকে সে চাদর জড়িয়ে দিলেন পরম মমতায় মায়ের মতো করে যাতে ঠান্ডা না লাগে। মুসকানকে (Muskan) দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন নিরাপত্তা কর্মীদের। অবশেষে খানিকক্ষণ পর একটু ধাতস্থ হলো মুসকান। সে সুস্থ হচ্ছে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে মঞ্চ ছাড়লেন নেত্রী। তার নির্দেশের পর মুস্কান কে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মুসকানের মা তখন ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই বিস্ময়ে আবিষ্ট তখনও৷ চোখের সামনে দেখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবিসংবাদী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মেয়েকে নিজে শুশ্রূষা করলেন সুস্থ করে তুললেন।একি স্বপ্ন নাকি সত্যি বাস্তব তখনও ঘোর লেগে মায়ের চোখে।