জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ কৃষ্ণনগরের পালপাড়ায় পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর শান্তিপুর গিয়ে সেখানেই প্রশাসনিক সভা করলেন তিনি। এখানে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েও খোঁজ নেবেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে শান্তিপুরের সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মুম্বইতে স্কুলের ১০৯ জন ছাত্র মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ
এদিন তিনি সরকারি প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘জল স্বপ্ন প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৮৬ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। আর এক বছরের মধ্যে। চার পাঁচ মাসের মধ্যে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। আর ৫-৬ মাসে বাকিদের পৌঁছে যাবে। নদিয়ায় কন্যাশ্রী, হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ তৈরি করেছি। কল্যাণীতে এডুকেশন হাব, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্য়ালয় করেছি। নবদ্বীপকে ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে হেরিটেজ শহর করা হচ্ছে। কল্যাণীতে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে ব্রিজ হচ্ছে।রাস্তার মান ভাল হয়েছে। কৃষ্ণনগর রানাঘাট, নবদ্বীপ, জলঙ্গী, দেবীপুর যাওয়ার রাস্তা এখন কী হয়েছে বলুন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে শান্তিপুর পর্যন্ত ব্রিজ তৈরি করে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন-লাদাখে সশস্ত্র চিনা সেনা, খালি হাতেই প্রতিরোধ ভারতীয় মেষপালকদের
এদিন মতুয়াদের কথা তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন, নির্বাচনের সময়ে মতুয়া। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না, ১৫ বছর ধরে বারবার ওঁর কাছে ছুটে গিয়েছি। ওঁর যত চিকিৎসা আমি নিজের টাকায় করেছি। আজ বড় বড় কথা। মতুয়া বিকাশ পর্ষদকেও ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরবাড়ির কাছাকাছি হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। বড়মার কাছে গিয়ে বঙ্গভিভূষণ নিজে তুলে দিয়ে এসেছিলাম।ঠাকুরনগরে ফুল মাণ্ডি তৈরি হচ্ছে, নতুন সাবস্টেশন হচ্ছে।হাবড়া, গাইঘাটায় কাজ হচ্ছে। কৃষক মারা গেলে, তাঁকেও ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন-বিশ্বগুরুর দালাল চক্র
সরকারি সুবিধার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘৩ কোটি মা বোনেরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। সংখ্যালঘুরা ৩ কোটি ঐক্যশ্রী কন্যাশ্রী ৯৫ লক্ষ মেয়েরা পেয়েছে। শিক্ষাশ্রী প্রায় ৭৪ লক্ষ। বিনা পয়সায় রেশন আমরা দিই। নির্বাচনের আগে বিজেপি বলে. পাঁচ কেজি চাল দেব। রাস্তাগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেলে দুধারে কেবল ইন্ডাস্ট্রি আর ইন্ডাস্ট্রি, দোকান হবে। বাংলা এগিয়ে যাবে। ভারতবর্ষের সবাইকে ভয় দেখিয়ে জেলে পুরে দিলেও কিচ্ছু হবে না। আমাকেও জেলে পুরে দিলে, জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসব।’