কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রমাণিকের হয়ে বৃহস্পতিবার সভা করেছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার, দলীয় প্রার্থীদের প্রচার সভা থেকে মোদি তথা বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোচবিহারের বিজেপি (BJP) প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক থেকে শুরু করে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নাম না করে তুলোধনা করেন মমতা।
আরও পড়ুন-বার্থ সার্টিফিকেটের নিয়মে বড় বদল
এদিন সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রীবাবু কাল মিটিং করে গেছেন। কার হয়ে মিটিং করে গেছেন। আমরা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। খুন, পাচার, অশান্তি করত। নিজের আয়নায় মুখ দেখো। আমাদের কাছে যে আপদ, সে ওদের কাছে সম্পদ। সে আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছি ছি ছি। লজ্জা লজ্জা লজ্জা।” তৃণমূল সভানেত্রী সাফ জানান, ”শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি, তোমরা কেন গুন্ডাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাখো? তোমাদের গুন্ডা কীভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?”
আরও পড়ুন-‘গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে, রিপোর্ট প্রকাশ করুন’ ফের একবার কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
এরপরেই নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশান করেন তৃণমূল সভানেত্রী। বলেন, “দেখলেন না একজন বিচারপতি চেয়ারে বসে কী করলেন, তারপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে গালাগালি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি ওর বিরুদ্ধে এক জন ছাত্রনেতাকে দাঁড় করিয়েছি। দেবাংশু ছুটিয়ে বেড়াক।” তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “আপনি বিচার দিয়ে অনেক ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়েছেন। এবার আপনার বিচার করুক জনগণ। এবার জনগণ আপনার চাকরি খাবে, বিচার দিয়ে। এটা জনগণের আদালত।”
আরও পড়ুন-ইএমআই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত আরবিআইয়ের
বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকেও নাম না করে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছিল। তাঁদের মধ্যে চারজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। একজন রাজবংশী। যে লোকটির নির্দেশে হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দুটি ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। তাঁকে বীরভূমে প্রার্থী করেছে।
আরও পড়ুন-কাল ড্র করলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন মহামেডান
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়েও খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”এখানে পাঁচ বছর ধরে সাংসদ ছিলেন। তোমরা তাঁকে কাজ করতে দাওনি। সে চলে গেল। এখন আবার আর একজনকে নিয়ে এসেছে। বৈশাখ মাসে একটা দেবে, জৈষ্ঠ্য মাসে একটা দেবে। পচা ভাদ্রে ডুবে মরবে।”